বাণিজ্যের পর এবার উচ্চশিক্ষা খাতে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার (২৮ মে) বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিল করবেন তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে রুবিও বলেছেন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা আগ্রাসীভাবে বাতিল করা হবে। বিশেষত, চীনা কমুউনিস্ট পার্টি বা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আমাদের নজরে রয়েছেন।
ভবিষ্যতে চীন এবং হংকংয়ের শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রুবিও। এজন্য ভিসা প্রদানের মানদণ্ড পুনর্বিবেচনা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক হাজার চীনা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে মার্কিন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎসে যেমন ব্যাঘাত ঘটবে, তেমনি মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও মেধাবী নবীন কর্মী খুঁজে পেতেও কিছুটা বেকায়দায় পড়বে।
মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের তথ্যমতে, সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ ছিল ভারতীয় এবং চীনা। মার্কিন অর্থনীতিতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার অর্থমূল্যের বেশি সেবা প্রদানে তাদের অবদান ছিল।
দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর থেকেই নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী কঠোর অভিবাসী নীতি প্রয়োগ করে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তার অনড় অবস্থানের ফলস্বরূপ এতোদিন দেখা গেছে ব্যাপকহারে অভিবাসী বিতাড়ন আর এখন শুরু হচ্ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি।
মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী গ্রহণের অনুমতি বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তার প্রশাসন জানিয়েছিল, ইতোমধ্যে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেন অন্য কোথাও বদলির চেষ্টা করেন। তখন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছিল, বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।