ক্রমবর্ধমান চীনা হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি জোরদার করতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড। রবিবার (৮ জুন) এই মহড়া পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
দক্ষিণ তাইওয়ানের কাওহসিয়ুং বন্দরে আয়োজিত মহড়ায় 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের' দ্বারা একটি ফেরি দখলের ঘটনা অনুকরণ করা হয়। মহড়ায় কোস্ট গার্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধার হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীর মেডিভ্যাক হেলিকপ্টার একযোগে ফেরিটিতে অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে এবং আহতদের সরিয়ে নেয়।
মহড়ার শেষদিকে একসঙ্গে উড়তে দেখা যায় নৌবাহিনীর একটি অ্যান্টি-সাবমেরিন হেলিকপ্টার, সেনাবাহিনীর মেডিভ্যাক হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারকে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, এই প্রথমবার তারা এমন যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে।
তাইপে সরকার জানিয়েছে, চীন সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে তাইওয়ানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নিয়মিতভাবে সমুদ্রতলের ক্যাবল কাটা, বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ‘গ্রে জোন’ তৎপরতার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সাধারণত কোস্ট গার্ডকেই আগে নামতে হয়।
তাইওয়ান একটি গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত দ্বীপ। তবে বেইজিং দ্বীপটিকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।
মহড়া পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তে। তিনি বলেন, চীনের হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের কোস্ট গার্ড সদস্যরা সবসময়ই আইনের শাসন ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার প্রথম সারিতে রয়েছেন।
মহড়ায় মার্কিন কনস্যুলেটের শীর্ষ কূটনীতিক নিল গিবসনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।