গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনা পিতা-পুত্রকে আটক করেছে ইউক্রেন। বুধবার (৯ জুলাই) দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিযুক্তরা ইউক্রেনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেপচুনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এসবিইউ জানিয়েছে, প্রথমে ২৪ বছর বয়সী এক সাবেক শিক্ষার্থীকে কিয়েভ থেকে আটক করা হয়, যিনি নেপচুন প্রকল্পের গোপন প্রযুক্তিগত নথি সংগ্রহ করেছিলেন। পরে তার বাবাকে আটক করা হয়, যিনি চীনা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এসব তথ্য পাচারের চেষ্টা করছিলেন। তিনি চীনে বাস করতেন, কিন্তু ছেলের কর্মকাণ্ড সরাসরি তদারক করতে ইউক্রেন সফরে এসেছিলেন বলে দাবি করেছে এসবিইউ।
এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম কোনও চীনা নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হলো।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৃহস্পতিবার জানান, তারা ঘটনাটি যাচাই করছেন। যদি চীনা নাগরিক জড়িত থাকেন, তবে আমরা তাদের আইনগত অধিকার রক্ষা করব।
আটক দু’জনের পক্ষের কোনও আইনজীবীর সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
এর আগেও চীনের বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে সহায়তা করার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। রাশিয়াকে ড্রোন ও অস্ত্র উৎপাদনে সহায়তা করার অভিযোগে চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর আগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কিয়েভ।
চীনা নাগরিকদের আটকের ব্যাপারে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধরত চীনা নাগরিকদের আটক করেছে।
অস্ত্র সহায়তার অভিযোগ অস্বীকার করে বেইজিং বলেছে, তারা মস্কো বা কিয়েভ, কাউকেই অস্ত্র দেয়নি।
চীন-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে বেইজিং। তবে গত মে মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাত্রা তাদের পক্ষপাতহীন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।