অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক বোমা বর্ষণের মধ্যেই কূটনৈতিক মিশন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় সন্ধ্যায় তিনি ইসরায়েলের পথে রওনা দিতে পারেন। বুধবার তিনি তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পরে তিনি জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইতোমধ্যে দুবার ইসরায়েল সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
খবরে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে বুধবার তেল আবিব থেকে জর্ডানের আম্মানে যাবেন বাইডেন। গাজায় মানবিক ত্রাণ সহযোগিতা জোরদার করতে কয়েকটি আরব দেশের নেতার সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বাইডেন স্পষ্ট করবেন যে, ইসরায়েলসহ অঞ্চলটির সব অংশীদারদের সঙ্গে আমরা কাজ চালিয়ে যেতে চাই মানবিক সহযোগিতার প্রবেশ ও বেসামরিকদের নিরাপদে বের হওয়ার পথ তৈরির জন্য।
এর আগে মঙ্গলবার জর্ডানের বাদশাহ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী হিসেবে মিসর ও জর্ডানে পাঠানো হলো রেড লাইন। এমন কোনও উচ্ছেদ হওয়া উচিত না।
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক শেষে বাইডেনের এই সফরের ঘোষণা দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে ইসরায়েলসহ সাতটি আরব দেশ সফর শেষ করেছেন তিনি। গাজায় আকাশ, সমুদ্র ও স্থল পথে ইসরায়েলের সম্ভাব্য ত্রিমুখী অভিযানে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে চরম অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে আসছে আরব দেশগুলো। এই পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আরব দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
বাইডেনের সফর প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত কীভাবে সর্বোচ্চ কমিয়ে আনা যায় এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর প্রশাসনের পরিকল্পনা শুনবেন তিনি। পাশাপাশি হামাসকে বাদ দিয়ে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের কাছে কীভাবে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়, এ নিয়েও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত আজ ১১তম দিনে গড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৫০০ জন। অপর দিকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় দুই হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দশ হাজার ৮৫৯ জন। তাছাড়া পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ৫৭ জন। এক হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন।