অজ্ঞাত হামলাকারীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে মিয়ানমারের দুটি বিমান ঘাঁটি। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের খবর ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ এবং অপরটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এসব হামলার দায় স্বীকারও করেনি কোনও গোষ্ঠী। সামরিক সরকারের তরফেও কোনও ধরনের মন্তব্য করা হয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের তিন মাসের মাথায় বিমান ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটলো। অভ্যুত্থান বিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সেনা সরকার। এখন পর্যন্ত প্রায় আটশ’ বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে কয়েক হাজার।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শহর মাগওয়ার বিমান ঘাঁটিতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে অন্তত তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে। এরপরই ঘাঁটির বাইরের সড়কে নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করা হয়।
ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশটির প্রধান বিমান ঘাঁটি মেইকতিলায় পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়। হামলার সময়ে ঘাঁটিটির পাশে অবস্থান করা থান উইন হ্লাইং নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে একটি বিস্ফোরণের পর রকেট উড়ে যাওয়ার শব্দ শোনা গেছে।
অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এসব বিক্ষোভের ওপর প্রাণঘাতী বল প্রয়োগ শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। অভ্যুত্থানের পর নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাতও বেড়েছে। উত্তর ও পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিমান হামলাও চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় রয়েছে। তবে দেশটির মধ্যাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনা বিরল।