পাকিস্তানে এক আত্মঘাতী হামলায় তিন নাগরিক নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে চীন। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ইসলামাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
মঙ্গলবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিন চীনা শিক্ষক এবং তাদের পাকিস্তানি গাড়িচালক নিহত হন। পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে।
কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা পাকিস্তান সরকারের প্রতি কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে এনেছে এই হামলার ঘটনা।
দীর্ঘদিনের মিত্র এবং মূল বিনিয়োগকারী হিসেবে পাকিস্তান জুড়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপকভাবে জড়িত চীন। তবে পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগের বিরোধিতা করে আসছে বিএলএ। তাদের দাবি এসব বিনিয়োগে স্থানীয়দের কোনও লাভ নেই।
বিশ্বজুড়ে চীনের নরম কূটনৈতিক কৌশলের মূল অংশ হিসেবে কাজ করছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলো।
আরও পড়ুন: করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ, চীনা নাগরিকসহ নিহত ৪
বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ঝাও লিজিয়ান টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘চীন এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।’ তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে ‘পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করার’ এবং ‘ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়াই করার’ আহ্বান জানান।
এই ঘটনার পর চীনকে সন্তুষ্ট করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও। মঙ্গলবার ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে ব্যক্তিগতভাবে ছুটে গেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ । বিরল পদক্ষেপে তিনি একটি হাতে লেখা চিঠিও দিয়েছেন। তাতে ‘পাকিস্তানের মাটি থেকে সমস্ত জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে’ তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, ‘দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা শান্ত হবো না।’