শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে চুরির ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সোনার প্রলেপ দেওয়া ৪০টি পিতলের সকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সকেট প্রেসিডেন্টের বাসার জানালার পর্দায় ঝোলানো ছিল বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সময় ভবনটি থেকে এগুলো চুরি করে নেয় তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা গত ৯ জুলাই সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডামাডোলে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। এরপর তারা সেখান থেকে মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয়। অবশেষে রবিবার সোনার প্রলেপ দেওয়া চোরাইকৃত পিতলের সকেটগুলো বিক্রির চেষ্টাকালে পুলিশের হাত ধরা পড়ে তারা। তাদের বয়স ২৮, ৩৪ ও ৩৭ বছর। প্রত্যেকেই রাজগিরিয়ার ওবেসেকারাপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের ধারণা, ধরা পড়া এই ব্যক্তিদের সবাই মাদকাসক্ত।
শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর জানিয়েছে, ৯ জুলাই বিক্ষোভ চলাকালে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরুর পরই এই ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পর শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ৯২ বছর পুরনো প্রেসিডেন্সিয়াল সেক্রেটারিয়েট থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের নির্দেশে চালানো ওই অভিযানে আহত হয় অন্তত ৪৮ জন। গ্রেফতার করা হয় ৯ জনকে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী এপ্রিল থেকে কমপ্লেক্সের বাইরে বিক্ষোভকারীদের স্থাপন করা তাঁবু গুঁড়িয়ে দেয়।
গত কয়েক দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে নাজুক। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল, খাবার, জরুরি ওষুধ কেনার মতো অর্থও নেই সরকারের হাতে। এই সংকটের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারকে দায়ী করে আসছে আন্দোলনকারীরা। আর এই সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়েই প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।