আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে তাইওয়ানের নিকটতম উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াবে ফিলিপাইন। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সেসব অঞ্চলে মোতায়েন করা সেনার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো টিওডোরো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের নৌবাহিনী জানিয়েছে, টিওডোরো মঙ্গলবার দূরবর্তী বাটানেস দ্বীপপুঞ্জের নৌ-সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। এসময় সেখানে আরও কাঠামোগত উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তাইওয়ান থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও (১২৫ মাইল) কম দূরত্বে অবস্থিত বাটানেস দ্বীপপুঞ্জ।
মঙ্গলবার ফিলিপাইন নৌবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়, টিওডোরো বলেছেন, ‘২০২৪ থেকে অপারেশন পরিচালনায় আরও বেশি সক্ষম হয়ে উঠবে ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী (এএফপি)।’
সফরের সময় প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে এএফপি এবং নৌবাহিনীর প্রধানরাও ছিলেন। এসময় বাটানেসের ভৌগোলিক অবস্থান ও গুরুত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলীয় ভূমিরেখার কথা বিবেচনায় নিলে ফিলিপাইনের অগ্রভাগ’ হলো বাটানেস।
ফিলিপাইন নৌবাহিনী বলেছে, টিওডোরোর এ সফর ‘আমাদের দেশের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে নির্দেশ করে।’
ফিলিপাইনের বাটানেস দ্বীপপুঞ্জ এবং তাইওয়ানের মধ্যে অবস্থান বাশি প্রণালির। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের জন্য প্রণালিটিকে একটি চেকপয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রণালি ব্যবহার করে নিয়মিত জাহাজ ও বিমান পাঠায় চীনা সামরিক বাহিনী।
নভেম্বরে ফিলিপাইনের উত্তরের নিকটতম জলসীমায় যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল ফিলিপাইন ও মার্কিন সামরিক বাহিনী।
এর আগে, আগস্টে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাটানেসে একটি বেসামরিক বন্দর তৈরির বিষয়ে আলোচনা করছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে তাইওয়ানের মুখোমুখি কৌশলগতভাবে অবস্থিত দ্বীপগুলোতে আমেরিকানদের প্রবেশাধিকার বেড়ে যাবে।
২০২৩ সালে মার্কিন বাহিনী প্রবেশ করতে পারে এমন সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করেছে ফিলিপাইন। এর মধ্যে তিনটিই তাইওয়ানের মুখোমুখি রয়েছে।
তখন চীন অভিযোগ করেছিল, দেশটির এমন পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক উত্তেজনার ‘আগুনে ঘি ঢেলেছে।’
দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে চীন।