দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত ৪০টি গোপন ক্যামেরা স্থাপনে এক ইউটিউবারকে সহযোগিতার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষের মতে, এই দুই ব্যক্তি ওই ইউটিউবারের সঙ্গী। নির্বাচনে জালিয়াতি অভিযোগ সম্পর্কে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে এসব ক্যামেরা বসিয়েছিলেন ওই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সোমবার (১ এপ্রিল) দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
চল্লিশের কোঠায় বয়স থাকা ওই ইউটিউবারকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট শুক্র ও শনিবার শুরু হবে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইঞ্চিয়নের পুলিশের মতে, দেশজুড়ে অন্তত ৪০ স্থানে অবৈধ ক্যামেরা পাওয়া গেছে। এসব স্থানের মধ্যে ভোটকেন্দ্র ও ভোট গণনা কেন্দ্র রয়েছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক দৈনিক পত্রিকা স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের আড়ালে এসব ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল অফিস অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান সোমবার বলেছেন, দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। একজন বয়স ৫০ ও অপরজনের বয়স ৭০ এর কোঠায়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বেআইনি প্রবেশ ও নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘন।
গ্রেফতারকৃত ইউটিউবার উগ্রডানপন্থি মতবাদে বিশ্বাসী। অতীতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আসন্ন নির্বাচনে জালিয়াতি উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন।
গ্রেফতারের পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আগাম ভোটের সংখ্যা তিনি যাচাই করতে চেয়েছিলেন। আগাম ভোট ও মূল ভোটের ফলাফলের ব্যবধান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
গত বছর উপ-নির্বাচনের সময় রাজধানী সিউলের আগাম ভোটকেন্দ্রগুলোতে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন তিনি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও গোপন ক্যামেরার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ভোটের আগে আরও পরিদর্শন হবে।
কোরিয়া টাইমস-এর খবর অনুসারে, আগাম ভোট হবে সাড়ে তিন হাজারের বেশি কেন্দ্রে। মূল ভোটের দিন ১০ এপ্রিল ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হবে অন্তত চারগুণ।