থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিলেন এক ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু মুম্বাই বিমানবন্দরে নামতেই কাস্টমস কর্মকর্তারা তার ব্যাগে পান বিপজ্জনক ৪৭টি বিষধর সাপসহ বিরল প্রজাতির একাধিক সরীসৃপ। রবিবার মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটনাটি ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ওই যাত্রী তার লাগেজে গোপনে প্রাণীগুলো বহন করছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রাণীগুলোর বেশিরভাগই অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। তিনি এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং তার পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুম্বাই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে রঙিন বিষধর সাপগুলোকে একটি থালায় কিলবিল করতে দেখা গেছে। পোস্টে বলা হয়, যাত্রীর লাগেজ থেকে ৩টি স্পাইডার-টেইল্ড হর্নড ভাইপার, ৫টি এশিয়ান লিফ টার্টল এবং ৪৪টি ইন্দোনেশীয় পিট ভাইপার উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এই সাপগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভারতে নির্দিষ্ট প্রজাতির বন্যপ্রাণী আমদানির জন্য সরকারি অনুমোদন ও লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বিলুপ্তপ্রায় ও সংরক্ষিত প্রাণী আমদানিতে কড়াকড়ি রয়েছে।
বিমানবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনা ভারতে নতুন নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দিল্লি বিমানবন্দরে এক কানাডিয়ান যাত্রীর লাগেজ থেকে একটি কুমিরের খুলি উদ্ধার করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ব্যাগে পাওয়া যায় পাঁচটি সিয়ামাং গিবন, যেগুলো ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বনাঞ্চলে পাওয়া যায় এবং বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
গত নভেম্বরেও ব্যাংকক থেকে ফেরা দুই যাত্রীর কাছ থেকে ১২টি বিদেশি কচ্ছপ জব্দ করে কাস্টমস।
২০১৯ সালে চেন্নাই বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডফেরত এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি হর্নড পিট ভাইপার, পাঁচটি ইগুয়ানা, চারটি ব্লু-টাং স্কিঙ্ক, তিনটি গ্রিন ট্রি ফ্রগ এবং ২২টি মিসরীয় কচ্ছপ।