রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইউক্রেনীয় শহরগুলোকে রক্ষার করার জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা। মঙ্গলবার (১১ জুন) জার্মানির বার্লিনে একটি সম্মেলনে ইউক্রেনের শান্তি স্থাপনের বিষয়ে আলোচনার সময় এ কথা বলেন তারা। এসময় যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসাগুলোকে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সহযোগিতার আহ্বানও জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন আশা করছে, এই সম্মেলন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করবে এবং এটি যুদ্ধপরবর্তী ইউক্রেনের পুনর্গঠনে অর্থায়নের ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
এই সপ্তাহান্তে, ইউক্রেনে শান্তির স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে সুইজারল্যান্ড। তবে এ সম্মেলনে চীন অংশগ্রহণ করেনি। আর রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই সম্মেলনকে সময়ের অপচয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইতোমধ্যেই বার্লিন এবং মিউনিখ শহরগুলোতে বিদ্যুৎশক্তির জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি ও শক্তি অবকাঠামো নিশ্চিহ্ন করেছে রাশিয়া।
প্রতিরক্ষার জন্য কোটি ইউরো সহযোগিতা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং একটি নতুন ও আরও আধুনিক জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি চুক্তি নিয়ে সম্মেলন থেকে ফিরবেন বলে আশা করছিলেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎকে অস্ত্র হিসেব ব্যবহার করছে রাশিয়া। দেশটির এমন ধ্বংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ইউক্রেন ভুগছে।
বিশ্বব্যাংকের একটি অনুমান অনুসারে, এক দশকে ইউক্রেনের ৫০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে শলৎস বলেছিলেন, কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের জন্য একটি ব্যবসায়িক প্রস্তাব দিতে হবে। এসময় তিনি রিনিউয়েবল, আইটি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ সেক্টরগুলোতে ইউক্রেনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন।
শলৎস বলেন, ইউক্রেনীয় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে রুশ আক্রমণের প্রতিহত করতে দেশটিকে আরও বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাচ্ছে জার্মানি। ইউক্রেনে রাশিয়া সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করার দুই বছরেরও বেশি সময় পর দেশটিতে সামরিক সহযোগিতা পাঠাচ্ছে জার্মানি।