X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপূজায় পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি রুপি

বিদেশ ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:২৭আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:২৮

কলকাতার দুর্গাপূজা বিশ্বের বৃহত্তর পথ উৎসবগুলোর একটি। এই উৎসব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের উৎস। প্রতি বছর প্রায় ছয় মাস এই পূজা ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের দুর্গাপূজা ঘিরে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার কোটি রুপির বাণিজ্য হয়েছে।

দুর্গাপূজায় পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি রুপি

কলকাতায় প্রায় ১০ হাজার পূজা মণ্ডপ স্থাপিত হয়। ভারতের অন্যান্য রাজ্য ও বিদেশে আরও সহস্রাধিক পূজা হয়। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি পূজা ক্ষুদ্র অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে কলকাতায়। প্যান্ডেল স্থাপন থেকে শুরু করে ডেকোরেশন, মূর্তি নির্মাতা থেকে কারূশিল্পী, ইলেক্ট্রিশিয়ান থেকে নিরাপত্তারক্ষী, পুরোহিত থেকে ঢাকি; পূজায় হাজারো মানুষের উপার্জন হয়।

কলকাতার বড় ১০০ টি পূজা আয়োজকদের সংগঠন দুর্গোৎসব ফোরামের সভাপতি কাজল সরকার বলেন, পাঁচদিনের দুর্গাপূজায় শুধু কলকাতায় সাড়ে চার হাজার কোটি রুপি ও পুরো রাজ্যে পনেরো হাজার কোটি রুপি লেনদেন হয়। সাড়ে চার হাজার পূজার মধ্যে ২০০টির মতো পূজায় পঞ্চাশ জনের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়। বাকি ৪ হাজার ৩০০ পূজার প্রতিটিতে কর্মসংস্থান হয় অন্তত ২০ জনের। যারা মনে করেন পূজায় অনেক বেশি অর্থের অপচয় হয় তাদের জেনে রাখা উচিত এই অর্থ জলে যায় না। এই অর্থ যায় শ্রমিক, কারূশিল্পীদের কাছে। যা দিয়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষের ছয় মাসের ভরণ-পোষণ হয়।

বিভিন্ন কোম্পানি ও বিজ্ঞাপনী সংস্থার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী এনকনের রবি পোদ্দার ও ব্যান্ড অ্যান্ড বিউটিফুলের অভিষেক ভট্টাচার্য্য জানান, কলকাতায় পূজার সময় বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি প্রায় ৫০০-৮০০ কোটি রুপি ব্যয় করে। এর মধ্যে ব্যানার ও তোরণ বানানোতে ব্যয় হয় ১৫০ কোটি রুপি।

১৯৯৯ সাল থেকে কলকাতার দুর্গাপূজা উদযাপনে পরিবর্তন আসে। তখন প্রথমবারের মতো উৎসবকে ঘিরে রাজপথে আলপনা আঁকা হয়, প্যান্ডেল বানানো হয়। এতে পাল্টে যায় দুর্গাপূজার বৈশিষ্ট্যও।সমাগম ঘটে লাখো মানুষের। আর তা কাজে লাগাতে ভুল করেনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলো। পাঁচদিনের উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে বিজ্ঞাপনের স্রোত শুরু হয়। এখন আর পূজা আয়োজনে স্থানীয়দের চাঁদার উপর নির্ভর করতে হয় না আয়োজকদের। স্থানভেদে বিভিন্ন কোম্পানি ১৫ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি দিয়েও স্পন্সর হচ্ছে।

পূজায় সক্রিয় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার পরিচালক রানা ঘোষ বলেন, বিস্কুট থেকে কেক উৎপাদনকারী, সাইকেল থেকে গাড়ি নির্মার্তা, সব প্রতিষ্ঠানই দুর্গাপূজায় বিজ্ঞাপনের মূল্য অনুধাবন করতে পেরেছে।

ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের মহাপরিচালক রাজিব সিং মনে করেন, দুর্গাপূজায় কলকাতার বাণিজ্যের পরিমাণ আগামী কয়েক বছরে তিনগুণ বেড়ে ১৫ হাজার কোটি রুপি হতে পারে। ২০৩০ সালের দিকে দুর্গাপূজা কুম্ভমেলা ঘিরে হওয়া বাণিজ্য ১ লাখ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে।

 

/এএ/
সম্পর্কিত
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
ভারতের ভোটে বিজেপির পক্ষে কি ‘৪০০ পেরোনো’ আদৌ সম্ভব?  
মিয়ানমারের ৩৮ শরণার্থীকে ফেরত পাঠালো ভারত
সর্বশেষ খবর
রেল ও সড়ক বিটের রিপোর্টারদের সংগঠনের নতুন কমিটি
রেল ও সড়ক বিটের রিপোর্টারদের সংগঠনের নতুন কমিটি
কঙ্গোর বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা, নিহত ৯
কঙ্গোর বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা, নিহত ৯
প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার ও প্রচারণা
প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার ও প্রচারণা
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা