X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

চীনা ব্র্যান্ড শাওমি, অপ্পো ও ভিভোর প্রযুক্তি জানতে চায় ভারত

বিদেশ ডেস্ক
২০ অক্টোবর ২০২১, ২০:১৯আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, ২০:১৯

লাদাখ সীমান্তে এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ভারত-চীন ঠান্ডা যুদ্ধ চলছেই। কেউ এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। বেইজিং-এর বিরুদ্ধে দফায় দফায় শান্তি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ করছে দিল্লি। সীমান্ত সংঘাতের জেরে দুই দেশের মধ্যে সাইবার যুদ্ধও চলছে। গালওয়ানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পরেই শতাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। এখন ফের সীমান্তে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠার পর চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে দিল্লি।

প্রথম ধাপে ভারতে টিকটক-সহ ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। পরে দিল্লি জানায়, আরও ২৫০ চীনা অ্যাপ তাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। পূর্ব লাদাখে ফের ‘চীনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা’র পর আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিল্লি। এবার নিশানায় জনপ্রিয় কয়েকটি চাইনিজ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। তালিকায় রয়েছে শাওমি, অপ্পো, ভিভো ও ওয়ান প্লাস।

চীনের এই ব্র্যান্ডগুলো এই মুহূর্তে ভারতের স্মার্টফোনের বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করে রেখেছে। তবে দেশটির তৈরি যে কোনও ব্র্যান্ড ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য কতটা নিরাপদ সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই স্মার্টফোনগুলোর প্রযুক্তি কেমন, কি কি ধরনের অ্যাপ ইনস্টল করা আছে, কি কি তথ্য আদান প্রদান করা যায় ইত্যাদি সবকিছু বিস্তারিত জানতে চেয়েছে মোদি সরকার। এমনটাই বলছে সূত্র।

ভারতের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশে সফল হচ্ছে না চীনের সেনাবাহিনী। তাই ঘুরিয়ে সাইবার হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বেইজিং। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে চাইনিজ অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, এসব অ্যাপ এমন কার্যকলাপে লিপ্ত যা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের পরিপন্থী।

দিল্লির দাবি, কোটি কোটি ভারতীয় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার স্বার্থেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এখন নতুন করে আবারও সেই নিরাপত্তার প্রসঙ্গই উঠে আসছে।

এসব ব্র্যান্ডের মোবাইলের মাধ্যমে ভারতীয় গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে, ভয়ঙ্কর ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে সাইবার হামলা চালানো হতে পারে। এমন আশঙ্কা মোদি সরকারের। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইবার ক্রাইম শাখা থেকেও চীনা ব্র্যান্ডগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

ভারতের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, দেশের প্রতিরক্ষার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চীন যে বড় ধরনের সাইবার হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন আশঙ্কা আগেও করা হয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাইবার নজরদারি বিষয়ক একটি সংস্থা সতর্ক করে বলেছিল, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির মদতপুষ্ট অন্তত দুইটি হ্যাকার-গোষ্ঠী ভারতের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তাদের আরও আশঙ্কা ছিল, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও সরকারি সংস্থার ভুয়া পরিচয় দিয়ে গোপনে সাইবার ফাঁদ পাততে পারে চীন। ভুয়া ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করলে যাবতীয় ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যাবে। সূত্র: ভিওএ।

/এমপি/
সম্পর্কিত
তাইওয়ান প্রণালীতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
ভারতের ভোটে বিজেপির পক্ষে কি ‘৪০০ পেরোনো’ আদৌ সম্ভব?  
সর্বশেষ খবর
তাইওয়ান প্রণালীতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
তাইওয়ান প্রণালীতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
দলবল নিয়ে উঠান বৈঠকে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ বদির বিরুদ্ধে
দলবল নিয়ে উঠান বৈঠকে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ বদির বিরুদ্ধে
লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম