লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে নির্ধারিত দিনের বদলে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২-এর ইশতেহার প্রকাশ করল বিজেপি। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে কর্মসংস্থান নিয়েও একাধিক বার্তা দিয়েছে বিজেপি। ইশতেহারে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে বিনামূল্যে কৃষকদের সেচ ব্যবস্থা ও আখ চাষিদের জন্য ১৪ দিনের ভর্তুকির মতো বিষয়গুলো।
প্রকাশিত ইশতেহারে যে বিষয়গুলো চমক দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষকদের প্রতি বিশেষ বার্তা। রাজ্যের কৃষকদের বিনামূল্যের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াসহ একাধিক ঘোষণায় তাক লাগিয়েছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্র দেশে শেষবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে কৃষক আন্দোলনের জেরে বিজেপি খানিকটা কোণঠাসা হতে থাকে। বিশেষত পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বিজেপি। রাজ্যটিও খানিকটা প্রভাবিত হয়। তবে যে সব কৃষিনির্ভর এলাকায় এই আন্দোলনের প্রভাব বিজেপির ভোটব্যাংকে পড়তে পারে ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞরা, সেখানে সেভাবে কৃষক বিক্ষোভ সেই সময়ের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই দেখা গেছে। তবে কৃষক ভোটব্যাংক নিয়ে যে বিজেপি কোনও মতেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয়, সেটির ইঙ্গিত পাওয়া গেলো তাদের ইশতেহারে। দিওয়ালি ও হোলির মতো উৎসবে বিনামূল্যের গ্যাস সিলিন্ডার নারীদের দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা ভোটে যে নারী ভোটব্যাংকের ওপর আলাদা করে ভরসা রাখছে বিজেপি সরকার, তা প্রমাণিত ইশতেহার থেকেই। এতে বলা হয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় প্রতিবার ১ বার করে, নারীদের বিনামূল্যের সিলিন্ডার দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, রাজ্যে ষাটোর্ধ্ব নারীদের পরিবাহনের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। আশ্রয়হীন নারী ও প্রবীণদের ১৫০০ রুপি করে পেনশন দেবে সরকার।
এছাড়া প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ট্যাব, প্রতিটি মণ্ডল এলাকায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার বার্তা দিয়েছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে অযোধ্যায় রামায়ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারে একজনের অন্তত রোজগার নিশ্চিত করা হবে।
কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয় যোগী সরকারের প্রশাসন। বহু ক্ষেত্রে কোণঠাসা হয়েছে সরকার। এরপর বিজেপির ইশতেহারে বলা হয়েছে, রাজ্যে অ্যাম্বুলেন্স ও এমবিবিএস-এর আসন বাড়ানো হবে।
বিজেপির ইশতেহারে লাভ জিহাদ নিয়েও বড়সড বার্তা রয়েছে। বলা হয়েছে, লাভ জিহাদ রুখতে ১০ বছরের সাজাসহ ১ লাখ রুপি জরিমানার সাজা রাখা হবে। এছাড়া মা অন্নপূর্ণ ক্যান্টিনে গরিবের খাওয়ার সংস্থান করবে রাজ্য সরকার।