আসামে সাম্প্রতিক বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো- বিশ্বনাথ, বোঙ্গাইগাঁও, চিরাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, মাজুলি, নলবাড়ি এবং তিনসুকিয়া।
এদিকে ভুটানের ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (ডিজিপিসি) জানিয়েছে, ১৪ জুলাই কুরিচু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি জলাধার খালি করবে তারা৷ এটি পূর্ব ভুটানের কুরিচু প্রকল্প অংশ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্পোরেশন (ডিজিপিসি) ১৪ জুলাই রাত ১২টা থেকে জলাধারে সঞ্চিত পানিকে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ছেড়ে দেবে। একই দিনে রাত ৯টার মধ্যে তা শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইটে লেখেন, ‘ভুটানের সরকার আমাদের জানিয়েছে যে আজ রাতে কুরিচু বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়া হবে। আমরা আমাদের জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে এবং সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি৷’
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানায়, মোট ১৭৯টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আসামজুড়ে ২ হাজার ২১১ দশমিক হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হলো- ধেমাজি এবং চিরাং। ধেমাজিতে ১৭ হাজার ৬০৪ জন এবং চিরাং-এ বন্যার কারণে ১৪ হাজার ৩২৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এএসডিএমএ আরও জানায়, বেকি (রোড ব্রিজ), দিসাং (নাংলামুরাঘাট), ব্রহ্মপুত্র (ধুবরি; নেয়ামতিঘাট) বর্তমানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
The Royal Government of Bhutan has informed us that tonight there will be an excess release of water from the Kurichu Dam. We have alerted our district administrations to remain vigilant and assist the people in every possible way in case the water breaches the Beki and Manas…
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) July 13, 2023
সূত্র: এনডিটিভি