চাঁদে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ এর রোবার অবতরণের পর সূর্য অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য সূর্য। এই অভিযানে থাকছে ‘আদিত্য-এল ১’ নামের মহাকাশযান।
গত সপ্তাহে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর নরম প্রান্তে চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণে ইতিহাস গড়েছে ভারত। চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে অবতরণের নাম লিখিয়েছে দেশটি। তবে দক্ষিণ প্রান্তে অবতরণের প্রথম দেশ। এমন সফলতায় দিল্লির প্রশংসায় গোটা দুনিয়া।
এবার সূর্যের গবেষণার জন্য প্রস্তুত ইসরো। শিগগিরই দেশটির শ্রীহরিকোটায় প্রধান মহাকাশ বন্দর থেকে মহাকাশ যান উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
‘আদিত্য-এল’ এর কাজ কী?
করোনা মহামারীর জন্য দীর্ঘদিন থমকে ছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অন্যতম স্বপ্নের মহাকাশযান ‘আদিত্য এল ওয়ান মিশন’, যা সৌর জগতের যাবতীয় রহস্যের সমাধান করতে চলছে। এটি ভারতের প্রথম সৌর অভিযান হবে।
পৃথিবী থেকে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে প্রতিস্থাপিত করা হবে এই মহাকাশযানটিকে। এমন জায়গায় অবস্থান করবে যেখান থেকে কোনও বাধা ছাড়াই সৌরজগতকে আরও সুস্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব। ভারতের আবহাওয়ার ওপর ঠিক কী প্রভাব ফেলছে সূর্য, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে মিশনটি সফল হলে।
প্রথমে এটি পৃথিবীর নিম্নকক্ষে প্রতিস্থাপন করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে এল ওয়ান পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশযানটি।
এদিকে সম্প্রতি পানির অস্তিত্ত্ব প্রমাণিত হওয়ার পর সারা পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ ও মনোযোগ এখন চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই অঞ্চলটিতেই। এখানে পানি আছে বলে ধারণা করা হয়েছে। তাই গর্তগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদে পাঠানো বেশিরভাগ মহাকাশযান নিরক্ষীয় অঞ্চলে। কিন্তু চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার জন্য অবতরণ করা প্রথম মহাকাশযান। এই হিসেবে চাঁদে ভারতীয় চন্দ্রযানের অবতরণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।