X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় এখনও লাখ লাখ মানুষ নিখোঁজ: জাতিসংঘ

বিদেশ ডেস্ক
০২ মার্চ ২০২১, ১২:৫০আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২১, ১৩:৩৪
image

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, সিরিয়ায় দশ বছরের গৃহযুদ্ধের সময় নির্বিচারে আটক লাখ লাখ মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষকে হেফাজতে রেখে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে জাতিসংঘের তদন্তকারীদের  নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিরিয়া যুদ্ধের সব পক্ষই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিতরা তদন্তকারীদের যে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে ‘অকল্পনীয় দুর্ভোগের’ বর্ণনা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের বাহিনী মারাত্মক শক্তিপ্রয়োগ শুরু করলে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পুরো দেশ বিধ্বস্ত করে দেওয়া এই গৃহযুদ্ধে অন্তত তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকই বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। আর প্রায় ৬০ লাখ বিদেশি শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়।

সিরিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত করতে ‘স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন’গঠন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।  বিভিন্ন পক্ষের শতাধিক কারাগার খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ২৬৫০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কমিশনটি।  এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধে জড়িত প্রায় সবগুলো পক্ষই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান পাউলো পিনহেইরো বলেন, ‘সরকারি বাহিনীগুলো নির্বিচারে রাজনৈতিক বিরোধী, সাংবাদিক, মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট এবং বিক্ষোভকারীদের আটক করে।, এ থেকেই সংঘাত শুরু হয় এবং এটাই সংঘাত শুরু হওয়ার মূল কারণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এবং হায়াত তাহরির আল শাম ও ইসলামিক স্টেটের মতো জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে শুরু করে, চরমভাবে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে শুরু করে। এর সঙ্গে তাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবও জড়িয়ে ছিল।’

বিভিন্ন আটক থাকা পুরনো বন্দিরা মাসের পর মাস ধরে দিনের আলো না দেখা, নোংরা পানি পান ও বাসি খাবার খেতে বাধ্য হওয়ার কথা জানিয়েছেন। বচলেছেন শত শত বন্দিকে একসঙ্গে রাখা হলেও সেখানে ছিলো না কোনও টয়লেট দেওয়া হয়নি কোনও চিকিৎসাও।

/জেজে/বিএ/
সম্পর্কিত
চুক্তি হোক বা না হোক রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
হামাসকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নাকি রাফাহতে হামলারাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
সর্বশেষ খবর
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
কান উৎসব ২০২৪উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ