ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুল শনিবার (১৪ জুন) বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত নিরসনে অবদান রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, এর আগেও গঠনমূলক আলোচনার সুযোগ ইরান গ্রহণ করেনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার রাতে জার্মান পাবলিক সম্প্রচারক এআরডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াডেফুল বলেন, ‘আমি আশা করি, এখনো সেটা সম্ভব। জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন একত্রে প্রস্তুত। আমরা ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি, আমি আশা করি তারা এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত প্রশমনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হচ্ছে—ইরান যেন এই অঞ্চলের জন্য, ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য অথবা ইউরোপের জন্য কোনও হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়।’
রবিবার ওমানে অবস্থান করছেন ওয়াডেফুল। তিনি বলেন, এই সংঘাত তখনই শেষ হবে যখন-ইরান ও ইসরায়েল উভয়ের ওপর সব দিক থেকে প্রভাব খাটানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার পক্ষ থেকেই একটি অভিন্ন প্রত্যাশা রয়েছে যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দুই পক্ষেরই সহিংসতার ঘূর্ণি থামাতে একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’
ইরানের সরকার পতনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওয়াডেফুল বলেন, তার ধারণা, তেহরানের সরকার পতন করাই ইসরায়েলের উদ্দেশ্য নয়।
গাজা প্রসঙ্গে ওয়াডেফুল বলেন, ফিলিস্তিন অধ্যুষিত উপত্যকায় অমানবিক পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি ইসরায়েলকে ত্রাণ সংস্থাগুলোর জন্য অবাধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা, মৃত্যু, গাজার মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে।’
তবে তিনি আরও বলেন, এই সংঘাতের জন্য দায়ী হামাস। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েল থেকে যাদের জিম্মি করা হয়েছিল তাদের মুক্তির আহ্বান জানান ওয়াডেফুল।