ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে নিশানা করে হত্যার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমবার তিনি বলেন, যা করা দরকার, আমরা তা-ই করছি। টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আমি বিশদে যাবো না, তবে আমরা এর আগে তাদের শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের টার্গেট করেছি। ওটা ছিল হিটলারের পারমাণবিক দল। খামেনিকে হত্যার মতো পদক্ষেপ সংঘাত বাড়াবে না, বরং শেষ করবে।
সাক্ষাৎকারে ইরান থেকে আসা শান্তি আলোচনার বার্তাগুলোকেও তিনি গুরুত্ব দেননি। তার ভাষায়, তারা এসব ভুয়া আলোচনার মধ্য দিয়ে আমেরিকাকে ধোঁকা দেয়, সময়ক্ষেপণ করে। আমাদের কাছে তাদের প্রতারণার ব্যাপারে খুব নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে।
সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে ট্রাম্পপন্থি রিপাবলিকানদের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সমালোচনা করে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা শুধু আমাদের শত্রুর সঙ্গে নয়, আপনাদের শত্রুর সঙ্গেও লড়ছি। ওরা ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক’—এই স্লোগান তোলে। আমরা তাদের পথে পড়ে গেছি। খুব সহজেই এই আগুন আমেরিকায় পৌঁছে যেতে পারে।
তার কথায়, এটি শুধু ইসরায়েলের হুমকি নয়। আমাদের আরব প্রতিবেশী, ইউরোপ ও আমেরিকার জন্যও এটি সমান হুমকি। যারা বলে ‘এটা আমাদের বিষয় নয়’, তারা কেবল অন্ধ নন, তারা চরম বাস্তবতা অস্বীকার করছেন।
এর আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া অপর এক সাক্ষাৎকারে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফল হিসেবে দেশটির শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন নেতানিয়াহু।
সম্প্রতি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ট্রাম্প তাতে ভেটো দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তখন নেতানিয়াহু সরাসরি কিছু না বলে বলেছিলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।