X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট নয়: যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘ দূত

বিদেশ ডেস্ক
১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৪আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৬
image

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে যথেষ্ট মনে করছেন না জাতিসংঘের দূত ইয়াংহি লি।  এ সপ্তাহে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হলাইংসহ আরও তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইয়াংহি লি বলছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট সেনাসদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

ইয়াংহি লি

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিপীড়নকে জাতিগত নিধন বললেও গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি। তবে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। একই বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ঘৃণ্য জাতিগত নিধনযজ্ঞ আখ্যা দেন। কাছাকাছি সময়ে রাখাইনে নিধনযজ্ঞের হোতা আখ্যা দিয়ে মং মং সো নামের এক সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।  ২০১৮ সালের অক্টোবরে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তিনজন সামরিক কর্মকর্তা ও দুইটি সেনা ব্রিগেডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সবশেষ গত মঙ্গলবার দেশটির সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, যে সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, ‘তারা কখনোই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে যায়নি…...আসুন আরো বাস্তববাদী হই।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপ যথাযথ আখ্যা দিয়ে অন্যান্য দেশকেও একই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে লি বলেছেন, সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং, উপ সেনা প্রধান সোয়ে উইন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং অং অং ছাড়াও রোহিঙ্গা নিপীড়ন বিষয়ে ২০১৮ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে অন্য যে দুইজন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে তাদের সবাইকে গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।

/বিএ/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভস্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করলো ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বশেষ খবর
লেবাননের ইসরায়েলি হামলায় ২ জঙ্গি নিহত
লেবাননের ইসরায়েলি হামলায় ২ জঙ্গি নিহত
হামলার ঘটনায় মামলা করায় এবার বোমা হামলা, আহত ১৫
হামলার ঘটনায় মামলা করায় এবার বোমা হামলা, আহত ১৫
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!