X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের জীবনাবসান

বিদেশ ডেস্ক
২০ জুলাই ২০১৯, ২২:১৯আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৯, ২২:২৩

দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা দীক্ষিত মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে দিল্লির বেসরকারি হাসপাতাল এসকোর্টসে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। প্রবীণ এ রাজনীতিকের জীবনাবসানে গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ আরও অনেকে। দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের জীবনাবসান
গত কয়েক দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। ফলে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়। শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুর খবর পেতেই তার বাসায় ছুটে যান দলীয় নেতাকর্মীরা।

১৫ বছর ধরে ভারতের রাজধানী দিল্লি শাসন করেছিলেন শীলা দীক্ষিত। এর আগে ১৯৮৪ সাল থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত কনৌজের (উত্তরপ্রদেশ) এমপি ছিলেন। সেই সময় একদিকে যেমন লোকসভা সমিতির কার্যভার সামলেছেন, অন্যদিকে তেমনি মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। রাজীব গান্ধী সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতি দীক্ষিত। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন।

দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অপ্রত্যাশিত জয়ের পর থেকেই রাজনৈতিক জগত থেকে অনেকটা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন শীলা দীক্ষিত।  কিন্তু ২০১৯ -এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের অবস্থা খারাপ দেখে আর মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি। এসে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি রাহুল গান্ধীর পাশে। দিল্লির দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে।

ব্যক্তিগত জীবন:

১৯৩৮ সালের ৩১ শে মার্চ পাঞ্জাবের কাপূরথালায় জন্মগ্রহণ করেন শীলা দীক্ষিত। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরান্ডা হাউস থেকে ইতিহাসে এমএ করেছিলেন। আইএএস অফিসার স্বর্গীয় বিনোদ দীক্ষিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। বিনোদ ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা, সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল স্বর্গীয় উমাশঙ্কর দীক্ষিতের পুত্র ছিলেন তিনি। শীলা দীক্ষিতের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। তার ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত দিল্লির এমপি ছিলেন।

দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী:

নিজের কাজের জন্যই কংগ্রেসের শক্তিশালী নেতায় পরিণত হয়েছিলেন শীলা দীক্ষিত। সোনিয়া গান্ধীর নজরেও নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। ফলে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরেও তার সঙ্গে সোনিয়ার সুসম্পর্ক বজায় ছিল। ১৯৯৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হন শীলা দীক্ষিত। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের হয়ে পূর্ব দিল্লি থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। তারপর থেকে তিনি আর লোকসভার দিকে তাকাননি, দিল্লির আসনের দিকেই নজর দেন তিনি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যে শুধু জিতেছিলেন তা-ই নয়, তিন তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত। সূত্র: এনডিটিভি।

/এমপি/
সম্পর্কিত
চীনের হাসপাতালে চালু হলো ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস ওয়ার্ড
আদানির ৪৩ কোটি ডলার বকেয়া শোধ করেছে বাংলাদেশ: পিটিআই
চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ওয়াশিংটনে কোয়াড বৈঠক, প্রশ্নের মুখে ঐক্য
সর্বশেষ খবর
ভোট ছাড়াই চেয়ার দখল করতে বগুড়া চেম্বারের কার্যালয়ে তালা
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিভোট ছাড়াই চেয়ার দখল করতে বগুড়া চেম্বারের কার্যালয়ে তালা
ফিরে দেখা: ৩ জুলাই ২০২৪
ফিরে দেখা: ৩ জুলাই ২০২৪
টিভিতে আজকের খেলা (৩ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৩ জুলাই, ২০২৫)
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এনসিপির তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এনসিপির তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে ছয় সমন্বয়কের সাত দিন
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে ছয় সমন্বয়কের সাত দিন