রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, লিবিয়ায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। মঙ্গলবার অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই লিবিয়ার বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার মস্কো ত্যাগ করার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্পতি ইস্তানবুলে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লিবিয়ার দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ত্রিপোলির জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার এই আহ্বানকে স্বাগত জানায়। পরে হাফতার বাহিনী ওই আহ্বান মেনে নিয়ে রাশিয়ায় লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবারের আলোচনা শেষে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ওই খসড়া অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সময় চায় হাফতার বাহিনী। তবে এদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মস্কো ছাড়ার খবর জানিয়েছে।
কলম্বোয় এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, ‘এখন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন ফলাফল অর্জিত না হলেও আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান শক্তি ও লিবিয়ার প্রতিবেশীরা একই যন্ত্রণা ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। যাতে করে শক্তি প্রদর্শন করার সমস্যা সমাধানের উপায়ে লিবিয়ার সব পক্ষকে সম্মত করতে।
খসড়া চুক্তিতে হাফতারের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আর্মির অনেক দাবি পূরণ হয়নি বলে আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া টেলিভিশন নেটওয়ার্কের খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, খলিফা হাফতার চুক্তি স্বাক্ষর না করায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হলেও জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১২টি দেশ ও জাতিসংঘসহ চারটি বহুজাতিক সংস্থাকে নিয়ে রবিবার বার্লিনে লিবিয়া ইস্যুতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।