অস্ট্রেলিয়ার চার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান থেকে গরুর মাংস আমদানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবির মধ্যেই মঙ্গলবার এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেইজিং।
১৩ মে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাদমাধ্যম বিবিসি।
রয়টার্স জানিয়েছে, করোনাভাইরাস উৎপত্তির তদন্ত নিয়ে বিবাদের জেরে ইতোমধ্যেই দুই দেশের প্রধান প্রধান কৃষি পণ্যের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ব্যাপারে চীনের স্বচ্ছতা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। এটি খুব উচ্চ পর্যায়ের। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। আমি মনে এটা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জোরালো তদন্ত চায় অস্ট্রেলিয়া।’
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চীন। দেশটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে, অস্ট্রেলিয়ার এমন দাবির ফলে অসি পণ্য বর্জন করতে পারে চীনা গ্রাহকরা। এর কয়েক দিনের মাথায় অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্লি আমদানিতে ৮০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করে বেইজিং।
বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন। ক্যানবেরা-র মোট রফতানি বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সামগ্রীর ক্রেতা বেইজিং। ফলে শুরুতেই অসি পণ্য বর্জনের হুমকি চীনের ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। দৃশ্যত এখন সে পথেই হাঁটছে বেইজিং।
মঙ্গলবার যে চার প্রতিষ্ঠান থেকে গরুর মাংস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো অস্ট্রেলিয়ায় এ খাতের সবচেয়ে বড় উৎপাদক। চীনের দাবি, প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যে লাগানো স্টিকার বা লেবেলে ত্রুটি রয়েছে। দুই দেশই দাবি করেছে, চীনের সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক’ নয়। তবে বেইজিং-এর পদক্ষেপকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম।
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের সঙ্গে হাজার হাজার চাকরি জড়িত। গরু বিক্রির জন্য বহু কৃষকও এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করে থাকে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।