যুক্তরাষ্ট্রের কেনোসা শহরে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ আহতের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার পর তুমুল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক পুলিশ বিভাগকে বিলুপ্ত করার দাবিও জানায় কেউ কেউ। তার মধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পুলিশের গুলিতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ হতাহত হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রবিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় উইসকনসিনের কেনোসা শহরে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় জ্যাকব ব্লেক নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ। তাকে পেছন থেকে কয়েকবার গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতেই হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জারি হয় কারফিউ। তবে কারফিউ উপেক্ষা করেই সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে আবারও রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, একটি গ্যাস স্টেশনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সশস্ত্র ব্যক্তিদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এক বিবৃতিতে কেনোসা পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে শহরে গুলির ঘটনায় কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। গুলিতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নিহত ও আহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানানো যাচ্ছে না। তদন্ত চলমান রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাইফেল হাতে থাকা এক ব্যক্তিকে তাড়া করছে কিছু মানুষ। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি পড়ে যায় এবং জমায়েত হওয়া লোকদের লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছুড়ে।
আরও কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সামরিক পোশাক পরা বেশ কয়েকজন সশস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তি বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সামনে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দাবি, তারা এসব প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা দিচ্ছে।
ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, গুলির শব্দ শুনে মানুষ ছোটাছুটি করছে এবং আহত ব্যক্তি পড়ে আছে।
এর আগে মঙ্গলবার উইসকনসিনের গভর্নর জানান, বিক্ষোভ থামাতে সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছেন তিনি।.