কাকতালীয়ভাবে বস্টন, প্যারিস ও ব্রাসেলস-ভয়াবহ এ তিনটি হামলার ঘটনাতেই প্রাণে বেঁচে গেলেন ম্যাসন ওয়েলস নামের এক মার্কিন তরুণ। আগের দুটি হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এ তরুণ মঙ্গলবার হাজির ছিলেন ব্রাসেলস বিমানবন্দরেও। এদিন সকালে জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বিমানবন্দর এলাকা। ওই ঘটনায় ১৪ জন নিহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান ম্যাসন। আর এর মধ্য দিয়ে বড় তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সাক্ষী হয়ে গেলেন তিনি।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসের বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় মরমন মিশনারি ম্যাসন ওয়েলসসহ অন্তত ৯ জন মার্কিন নাগরিক আহত হন। বোমার স্ফুলিঙ্গের কারণে ম্যাসনের মুখমণ্ডল ও হাতের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গেছে। তবে এ আঘাত দ্রুত সেরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, ব্রাসেলসে হামলা চালানো হয়েছে গত বছরের প্যারিস হামলার স্টাইলে। আর সেই হামলার সময়ও প্যারিসে উপস্থিত ছিলেন ম্যাসন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ম্যারাথনে হামলার সময়ও উপস্থিত ছিলেন তিনি।
ম্যাসনের বাবা চ্যাড ওয়েলস এবিসি নিউজকে বলেন, ‘এটি ওর তৃতীয় সন্ত্রাসী হামলার অভিজ্ঞতা। আমরা এক বিপজ্জনক দেশে বাস করি। এখানকার সবাই একইরকমের দয়ালু কিংবা প্রেমময় নয়।’
চ্যাড জানান বস্টন ম্যারাথনে হামলার দিন ফিনিশ লাইন থেকে সামান্য কিছু দূরে দাঁড়ানো ছিলেন তিনি আর ম্যাসন। ম্যারাথন দৌঁড়ে ম্যাসনের মা কিম্বার্লি অংশ নিয়েছিলেন। তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ম্যাসন আর তার বাবা। সে সময় হঠাৎ করে ওই ফিনিশ লাইনেই বোমা বিস্ফোরিত হয়।
ওই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কিম্বার্লি বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণের সময় ওদের শরীর কেঁপে উঠলো। চ্যাড ম্যাসনকে আমাদের হোটেলে নিয়ে গেল এবং সেখানেই থাকতে বললো। ম্যাসন খুব শান্ত আর স্থির ছিল সে সময়।’
মঙ্গলবারের ঘটনায় মুখে ও হাতের বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে যাওয়ার পর বেলজিয়ামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ম্যাসন। বাবা-মাকে জানিয়েছেন, হামলার সময় মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে ছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, গত নভেম্বরে প্যারিসে ধারাবাহিক হামলার সময়ও শহরটিতে অবস্থান করছিলেন ম্যাসন। তবে সে সময় শহরের অন্য এলাকাতে থাকায় আহত হতে হয়নি তাকে। সূত্র: ডেইলি মেইল, ইনডিপেনডেন্ট, গার্ডিয়ান
/এফইউ/বিএ/