কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে অভিনব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে তিনি স্বীকার করতে পারেন, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর দলে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভাষণে তিনি বিরোধীদের তিনি সমালোচনার পরিবর্তে ধারণা ও মতামত প্রস্তাব করতে বলবেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাষণ দেবেন থেরেসা মে। ব্রেক্সিটের পক্ষে গণভোটের রায়ের পর ডেভিড ক্যামেরনের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেরেসা মে’র দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তিতে এই ভাষণ দেবেন থেরেসা মে।
ভাষণে থেরেসা মে বলবেন, নির্বাচনের ফলাফল আমার প্রত্যাশিত ছিল না। তবে ব্রিটেনকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার অটুট রয়েছে। ব্রিটেনের মানুষের উন্নতি নিয়ে আমার বিশ্বাস দৃঢ় রয়েছে। আমরা একত্রিত জাতি হিসেবে তা অর্জন করতে পারি।
থেরেসা মে আরও বলবেন, আমি মনে করি প্রথম ভাষণে যে লক্ষ্য ও পথের কথা বলেছিলাম এবং সরকার গ্রহণ করেছিল তা সঠিক।
ভাষণে যুক্তরাজ্যে কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন বন্ধে পদক্ষেপের ঘোষণা দেবন তিনি। নিজের গঠিত কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সবগুলো দলের সহযোগিতা কামনা করবেন থেরেসা মে।
এমন সময়ে থেরেসা মে এই ভাষণ দেবেন যখন দলে তার নেতৃত্ব সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছে। দলেরই অনেক এমপি তার পদত্যাগ দাবি করছেন। ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর এ দাবি উঠছে।
/এএ/