বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা বাবদ ৩৬ কোটি টাকার চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খুব দ্রুত তাদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, চেক ভাঙিয়ে টাকা আসতে যতক্ষণ, তারপরই দিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বৃত্তির বকেয়া প্রায় ৩৬ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন বিএসএমএমইউ’র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট প্রশিক্ষণার্থী পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক।
চিকিৎসকরা জানান, ২০১৯-২০ সেশন থেকে নন-রেসিডেন্স কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা সেই ভাতা নিয়মিত পেলেও এর পরের বছর থেকেই তা অনিয়মিত হয়ে যায়। ২০২২-২৩ সেশনের নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা ১২ মাসের মধ্যে মাত্র ৩ মাসের ভাতা পেয়েছেন, বাকি ৯ মাসই বকেয়া রয়েছে। কোর্সে থাকাকালীন অন্য কোনও চাকরি, ডিউটি, চেম্বার ইত্যাদি করার অনুমতি না থাকায় এই কোর্সের ডাক্তাররা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে জানান তারা।
গত ১৩ জুন বকেয়া ভাতার দাবিতে চিকিৎসকরা বিএসএমএমইউ’র ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ওইদিন তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে আলাপ করে বকেয়া ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় চিকিৎসকরা সাত দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান, অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।