ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্যালাইনের কোনও সংকট হবে না দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু না হোক, সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবস সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনও সংকট হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাসাবাড়ি সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। একবার অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কারও যাতে ডেঙ্গু না হয়, সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’
‘ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে ঢালাওভাবে বলতে চাই না যে, আমি কী করেছি। আপনারা নিজেরাই বলবেন, আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময় করেছি। মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনও ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনও দুর্গা পূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপর উৎসবে যেতাম।’– বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এবারও আগের সেই ধারা বজায় রেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হলো, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া। তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। এছাড়া সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তাও দেখতে গিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এবার না বলেই গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। আমি গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে ছুটিতে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমি নিজে অনুভব করেছি। আমি যখন বার্নে কাজ করতাম, রাতে একটা মেয়ে না-খেয়ে কাজ করেছেন। সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকতো। ইচ্ছা করে এবার খাবারের অর্ডার করেছি। যাতে ভালোভাবে তারা ঈদটা করতে পারেন।’
