শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রমে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তাই প্রথমে পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। তবে বিভিন্ন স্কুলের অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে।’ সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই কার্যক্রমের উদ্বোধনে এসব তথ্য জানান তিনি।
ডা. দীপু মনির মন্তব্য, ‘টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। তাই আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’
মন্ত্রী জানান, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছিল। স্কুল-কলেজ যেন দ্রুত খুলে দিতে পারি সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কথায়, ‘প্রথমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টিকাদান শুরু করি। সেই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবার ১২-১৭ বছর বয়সীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হলো।’
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর আগে সব পরীক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে কিনা নিশ্চিত নন ডা. দীপু মনি, ‘সব পরীক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারবো সেই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারছি না। তবে ইংরেজি মাধ্যম ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বললেন একই কথা, ‘এখনই বলতে পারছি না। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে। যাদের আগে দেওয়া দরকার তারা অগ্রাধিকার পাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী টিকা দেওয়া হচ্ছে। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে অনেকেই পেয়ে যাবে। তবে সব পরীক্ষার্থী পাবে কিনা এখনই বলতে পারছি না।’
রাজধানীর বাইরে তৃণমূলে টিকা দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘আমরা বিভিন্ন জেলায় টিকা দেবো। উপজেলা পর্যায়ে এই কার্যক্রম নিয়ে যেতে হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
‘সব শিশু টিকা নেবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১২-১৭ বছর বয়সী ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘আমরা একদিনে ৮০ লাখের বেশি টিকা দিয়েছি, সেই সক্ষমতা আমাদের আছে। প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব। যদি আরও লোকবল প্রয়োজন হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।’
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করা হবে কীভাবে প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উত্তর, ‘সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখনও ১২ বছরের কম বয়সীদের টিকা প্রদানের অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’