বিশাল এক বিমান। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলো তাতে। এই আগুন নেভাতে আর যাত্রীরূপী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি, বিমান বাহিনীর সদস্য, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি; সবাই হাজির। কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আর ফাস্ট এইড কর্মীদেরও দেখা গেলো। সব মিলিয়ে এলাহী কাণ্ড! বিমানে আগুন ধরে গেলে কীভাবে তা নেভানো ও দ্রুত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে হয়, সেই মহড়া আয়োজন করলো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ফায়ার ক্রুদের দক্ষতা, সচেতনতা ও পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপযোগিতা যাচাই করা হয়েছে মহড়ায়। কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা সমাধানের মাধ্যমে সত্যিকারের দুর্যোগের সময় অনুসন্ধান ও উদ্ধার (সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ) কাজের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত থাকতে এই অনুশীলন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় অগ্নিনির্বাপন মহড়া। তুমুল ব্যস্ততায় পুরো অনুশীলন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
তবে মহড়া আর বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। তবুও যেন দ্রুত আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মানুষকে উদ্ধার করা যায় সেজন্য এই উদ্যোগ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ পাশের ট্যাক্সিওয়েতে ছবিগুলো তুলেছেন স্পটার নাজমুস সাকিব।
* মহড়ার জন্য বিশেষভাবে বানানো আকাশযান। এর নাম রাখা হয় ‘এবিসি এয়ারলাইনস’।
* মহড়ায় জানানো হয়, অবতরণের পরপরই হঠাৎ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবিসি এয়ারলাইনসের একটি আকাশযান। এর ডান পাশে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিমানে।
* আগুন ধরার প্রায় দেড় মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে আসে বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিস ইউনিট।
* মুহূর্তেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আকাশযানটি।
* আকাশযানের আগুন নেভাতে অবিরাম জলবর্ষণ করে যাচ্ছেন অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা।
* গুরুতর আহত দু’জনকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মহড়া।
* এবিসি এয়ারলাইনসে ছিলেন ১০০ জন যাত্রী। তাদের বেশিরভাগই আহত অবস্থায় পাশের ভূমিতে। যাত্রীদের হাসপাতালে নিতে এগিয়ে আসে মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স।
* বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে যেন সবাই সমন্বিতভাবে উদ্ধার কাজ করতে পারেন এজন্য এই আয়োজন।