রাঙামাটিতে বেড়াতে আসার জন্য গত মাসে হোটেল বুকিং দিয়েছিলেন বগুড়ার মো. আমীর। শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তিনি এসে পৌঁছেছেন। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টির কারণে হোটেল রুমে আটকে আছেন। ঘুরতে এসে এভাবে বসে থাকতে হলে কার ভালো লাগে। তাই এই পর্যটক বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘বিকালের মধ্যে পরিবেশ অনুকূল না হলে এখান থেকে রাতেই চলে যাবো।’
একই অবস্থা ঢাকা থেকে শনিবার সকালে ঘুরতে আসা মো. সালাহউদ্দিনের। বৃষ্টির কারণে দুপুর অবধি তার অলস সময় কেটেছে হোটেল রুমে। কখন বের হতে পারবেন তা জানা নেই তার। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘কাপ্তাই লেকে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সেখানে যেতে ভয় করছে। আজকের মধ্যে প্রাকৃতিক অবস্থার উন্নতি না হলে কাল সকালে ঢাকায় ফিরে যাবো।’
রাঙামাটিতে ঘুরতে এসে এমন হতাশা প্রকাশ করেছেন আরও কয়েকজন পর্যটক। ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাঙামাটিতে। এ কারণে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি অনেকটা পর্যটন শূন্য হয়ে পড়েছে। হাতেগোনা কিছুসংখ্যক পর্যটক উপস্থিতি থাকলেও হোটেল কক্ষে একরকম বন্দি হয়ে আছেন তারা। শনিবার সকালে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও পর্যটন স্পট ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। রাঙামাটির হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো সব মিলিয়ে এখন স্থবির।
‘তিতলি’র প্রভাবে নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিতে অনেকে বুকিং বাতিল করায় হতাশায় হোটেল-মোটেল মালিকরা। হোটেল মতিমহলের ম্যানেজার মো. হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে মোটামুটি ভালোই পর্যটক ছিল রাঙামাটিতে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সেই সংখ্যা অনেক কমে গেছে। অনেকেই হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন।’
তবে ‘তিতলি’র প্রভাব কেটে গেলেই পর্যটক সমাগম হবে বলে আশাবাদী পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন কুমার বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘তিতলির প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে পর্যটক কম। আশা করছি, প্রাকৃতিক অবস্থার উন্নতি গলে আবারও পর্যটকের ঢল নামবে।’