X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সাবেক এমপিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
১৬ এপ্রিল ২০১৮, ০৪:০৪আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:২৬

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ চারজনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী ইমাম বারীর (৬৬) সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে রবিবার (১৫ এপ্রিল)। পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রবিবার এ আদেশ দেন।



মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। পলাতক দুই আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম ই এইচ তামিম।
এর আগে, গত বছরের (২০১৭) ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে গত ৫ মার্চ খালেক মণ্ডলসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।
চার আসামির মধ্যে খালেক মণ্ডল গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ও কমান্ডার আব্দুল্লাহেল বাকি শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। বাকি দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম পলাতক। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ ও ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজীকে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান ট্রাইব্যুনাল।
শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। এ মামলার চার আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। একজন তদন্ত কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরে ৮ মার্চ অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ১৭ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটি গ্রামের বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহ হেল বাকিকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের হাজির করা হলে ঢাকায় থাকা ও ধার্য দিনে হাজিরের শর্তে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুর রউফের হেফাজতে ১০৩ বছর বয়স্ক বাকিকে জামিন দেওয়া হয়। বাসস।

/টিআর/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পবিত্র কোরআনে বৃষ্টির নানা রূপ বর্ণনা
পবিত্র কোরআনে বৃষ্টির নানা রূপ বর্ণনা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে