X
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেড় বছরে ৫৩৫ বিচারবহির্ভূত হত্যা: এইচআরএফবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ জুন ২০২০, ০০:২৬আপডেট : ২৬ জুন ২০২০, ০০:৩৫

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৫৩৫ জন ব্যক্তি। এর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৪৮১ জন। শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং অন্যান্য (গুলি, অসুস্থ ও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার) ৩১ জনের। এর মধ্যে গত সাড়ে পাঁচ মাসেই ১১ জন নির্যাতনের ফলে নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) এই তথ্য দিয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুন) নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস। দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি।
নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে এ সংক্রান্ত অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানাচ্ছে এইচআরএফবি। এইচআরএফবির সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) সকল প্রকার নির্যাতন, বেআইনি আটক ও হত্যা বন্ধে এ সংক্রান্ত অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার এবং এ সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটির প্রদত্ত সুপারিশসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছে।
এতে বলা হয়, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করা এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়নের পর সাত বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এ আইনের অধীনে কোনও মামলার সুরাহা হয়নি। হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগের বিপরীতে মামলা হয়েছে গুটি কয়েক (১৭টি)। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী বা তার পরিবার নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মামলা করার সাহস পান না। যারা সাহস করে মামলা করেছেন তারা নানা পর্যায়ে হয়রানি ও হুমকি শিকার হচ্ছেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে নানা প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছেন। এ আইনের দায়ের করা প্রথম হত্যা মামলা এখনো বিচারাধীন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগসমূহ নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হচ্ছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা অধিকাংশ সময়েই কেবল অব্যাহতি বা বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযুক্ত সদস্যকে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ এখন পর্যন্ত কার্যকরভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাছাড়া, বিভাগীয় তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এবং এমন তদন্তের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠছে।

/জেইউ/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, ভর্তি না হতে সতর্ক করলো ইউজিসি
নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, ভর্তি না হতে সতর্ক করলো ইউজিসি
দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হতে চায় ঐকমত্য কমিশন
দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হতে চায় ঐকমত্য কমিশন
জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী রগ কাটা গ্রুপ, এদের পেছনে নামাজ হয় না: বিএনপি নেতা হাবিব
জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী রগ কাটা গ্রুপ, এদের পেছনে নামাজ হয় না: বিএনপি নেতা হাবিব
কাঙ্ক্ষিত সেবার মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
কাঙ্ক্ষিত সেবার মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
সর্বাধিক পঠিত
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত
ঝড়বৃষ্টি দেখে স্বামীকে ফোন, এসে দেখেন পড়ে আছে স্ত্রীর মরদেহ
ঝড়বৃষ্টি দেখে স্বামীকে ফোন, এসে দেখেন পড়ে আছে স্ত্রীর মরদেহ