রাজধানী গুলশানে গৃহকর্মী পারভীন ওরফে ফেন্সি আরাকে (৩০) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হক এবং গৃহকর্তী সৈয়দ সামিনা হাসান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম সৈয়দ জসীমুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী অপর আসামি সামিনা হাসানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন তুরাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম এ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে। একইসঙ্গে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন।
এর আগে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নিকেতন থেকে জসীমুল হক ও সামিনা হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বামী জসীমুল হকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এ ধারণা থেকে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে গৃহকর্মী পারভীন ওরফে ফেন্সি আরার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন সামিনা হাসান। এতে ফেন্সি নিহত হন। লাশ সরিয়ে ফেলতে প্রাইভেটকার চালক রমজান আলী সহায়তায় তুরাগের দিয়াবাড়ি ঝাউবনে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। গত ২ ডিসেম্বর তুরাগের ঝাউবন থেকে অজ্ঞাত এক মরদেহ উদ্ধার হলে তদন্তে নামে পিবিআই। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতারে সক্ষম হয় সংস্থাটি।