X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন শফিক রেহমান, দাবি পুলিশের

আমানুর রহমান রনি
১৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:০২আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:০৯

জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন শফিক রেহমান, দাবি পুলিশের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রে শফিক রেহমান জড়িত থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শফিক রেহমানের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
পল্টন থানায় ২০১৫ সালের ৩১ মে ডিবি পুলিশের রমনা জোনের পরিদর্শক মো. ফজলুর রহমান এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডিটি ওই বছরের ৩ আগস্ট মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে প্রাপ্ত স্মারক নং-এস/-২৮-২০১৩ (অংশ-৩)/২৬৩৫(২) তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৫ খ্রি. এর আলোকে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাপ্ত পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আমেরিকায় বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য ও অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত দলিল সংগ্রহের জন্য ঘুষের ঘটনায় এফবিআই এর এক সাবেক স্পেশাল এজেন্টসহ আরও দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাবেক এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক তার বন্ধু জোহান্স থ্যালার’কে এবং জোহান্স থ্যালারের পরিচিত রিজভী আহমেদ সিজারদেরকে গোপনীয় ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক দলিল এবং তথ্য সংগ্রহের বিনিময়ে অর্থ সংগ্রহের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংগঠন জাসাস এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ।

পরবর্তীতে রিজভী আহমেদ এবং থ্যাল যথাক্রমে ৪২ মাস ও ৩০ মাসের সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত হন। লাস্টিক অন্য ঘটনায় আটক হয়ে গ্রেফতার হন। এ বিষয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এর প্রেস রিলিজে প্রকাশিত তথ্য পর্যাটলোচনায় দেখা যায়, গোপন তথ্য সংগ্রহের বিনিময় রিজভী আহমেদ সিজারের কাছ থেকে লাস্টিক ও থ্যালার কমপক্ষে ১ হাজার ইউএস ডলার গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকে ২০১৫ সালের ৯ মার্চ একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে উল্লেখ করেন- তিনি সেই আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং সে আদালতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লা মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের সাজা ঘোষণা হয়। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন যে, বিএনপি’র উচ্চ পর্যা্য়ে নেতারা সিজারকে মাসে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথম দফায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার নগদ প্রদান করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যেহেতু তদন্ত চলছে তাই তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছেন না। বিএনপি তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে বিএনপির যত উচ্চ পর্যায়ের নেতার সংশ্লিষ্টতা থাকুক না কেন সেটা খুঁজে বের করে বিচারের সম্মুখীন করার বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই স্ট্যাটাসে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সব সংসদ সদস্য উপরে উল্লেখিত একইরকম অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সংসদ সদস্যরা বিএনপির নেতাদের এ ধরনের ষড়যন্ত্রকে দোষারোপ করেন এবং তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সজীব ওয়াদেজ জয় বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে জানান। কারণ তিনি মনে করেন, বিএনপির হাইকমান্ড তার ক্ষতি করতে পারেন।

পুলিশের করা ওই এজাহারে আরও সন্দেহ প্রকাশ করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনও দেশে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ যেকোনও ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে জড়িত। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপির হাইকমান্ড দেশ ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থায়ন করছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা রিজভী আহম্মেদ দায়িত্ব দেন সিজারকে। এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যাকয়ের নেতারা দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থায়ন করছে। উল্লেখ্য, ওই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজার আমেরিকার আদালতে ৪২ মাস সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছে।

জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দেশে অবস্থানরত এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত বা বসবাসরত বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের কিছু ব্যক্তির উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরকিায় অপহরণসহ হত্যার অপরারধমূলক ষড়যন্ত্র করে পেনাল কোড আইনের ১২০-বি ধারায় অপরাধ করায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে এই এজাহার দায়ের করা হয়।

ওই মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের দাবি, শফিক রেহমান ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার।

এর আগে শনিবার সকালে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো দেখতেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার প্রেক্ষিতে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার সাক্ষ গ্রহণের পর পল্টন থানার তদন্ত কর্মকর্তা তার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান। বর্তমানে শফিক রেহমাকে রাজধানীর মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হতে পারে আজ।

যেভাবে গ্রেফতার হন শফিক রেহমান

শফিক রেহমানকে গ্রেফতারে ডিবি পুলিশ কৌশল হিসেবে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার বাসায় প্রবেশ করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে আসে সিভিলে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ।

সকাল ১১টার দিকে ১৫ ইস্কাটনস্থ শফিক রেহমানের বাসার বাবুর্চি আলী আজম এসব তথ্য জানান। ওই বাসার তিন তলায় থাকেন শফিক রেহমান।

তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টায় হঠাৎ মাইক্রোতে করে ৩ জন বাসার নিচে নামেন। আমাকে বাসার নিচ থেকে দাড়োয়ান মতিন মোল্লা জানালেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের (বৈশাখী টিভি) সাংবাদিক আসছে। স্যারের ইন্টারভিউ নেবে। ওরা নাকি আগেও আসছিলেন।’

আলী আজম বলেন, ‘তাদের নিচে বসতে বলে স্যারকে বিষয়টি জানাই। স্যার রিপোর্টারদের নাস্তা দিতে বলেন। তিনি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামবেন। কিছুক্ষণ পর ওই তিন ব্যক্তি উপরে আসেন। স্যার (শফিক রেহমান) থাকেন তিন তলায়। ওরা স্যারের দেরি দেখে তাড়াহুড়া শুরু করেন। আমি বললাম, আপনারা বসেন, অস্থির হবেন না স্যার ফ্রেশ হচ্ছেন। কিন্তু তারপরও তারা দ্রুত স্যারকে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এরপর আমি উপরে গিয়ে দেখি স্যার শেভ হচ্ছেন। নিচে নেমে আমি তাদের বলি আরও একটু সময় লাগবে। বসেন। তাদের একজন উপরে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি থামতে বলে নিচে নেমে যাই। ম্যাডামও অসুস্থ। আমি ম্যাডামকে সহযোগিতার জন্য মালটার সরবত বানাতে যাই। তাকিয়েই দেখি স্যার নিচে নামতেছেন। ভাবলাম স্যার কিছু না খেয়ে নিচে নামতেছেন কেন? আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই একজন আমাকে ঘুষি মেরে বলেন, আমরা বৈশাখী টিভির রিপোর্টার না। আমরা ডিবির লোক। এই বলে স্যারকে নিয়ে যায়।’

বাসার গলির দাড়োয়ান মতিন মোল্লাহ বলেন, সকালে বৈশাখী টিভির রিপোর্টার পরিচয়ে তিন ব্যক্তি ভেতরে যেতে চেয়ে অনুমতি নেন। আমি উপরে জানিয়ে দিলে তারা উপরে যান।

এরপর আমি গেইটের দিকে গিয়ে দেখি আরও ৭ জন দাঁড়িয়ে। কাউকে সাংবাদিক মনে হচ্ছিল না। সাদা মাইক্রোর সামনে সবাই বসা। এরপর কিছুক্ষণ পরেই শফিক রেহমান স্যারকে নিয়ে যায় ওরা। পরে জানতে পারি ডিবি পুলিশ আসছিল, সাংবাদিক নয়।

বাসার গৃহকর্মী হনুফা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে স্যার ও ম্যাডাম ‍দুজনই অসুস্থ। স্যারের হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রক্ত চাপ। ম্যাডামও জ্বর বমির কারণে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল।

তিনি বলেন, ‘১৮ বছর ধরে এই বাসায় কাজ করতেছি। আগে ছিলাম বারডেমে। এভাবে ভুয়া পরিচয়ে ডিবি আইসা স্যারকে লইয়া গেলো, ভয় লাগে না জানি আবার স্যারও গুম হইয়া যায় কিনা!

হনুফা বেগম আরও জানান, সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে ১৫ ইস্কাটনের বাসা থেকে ম্যাডাম (তালেয়া রেহমান) স্যারের সকালের খাবার ও ওষুধপত্র নিয়ে মিন্টো রোডস্থ ডিবি অফিসে গেছেন।

শফিক রেহমানের দেখা পাননি স্ত্রী

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপস্থাপক স্বামী শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি অফিসে গেলেও দেখা পাননি তিনি। ডিবি পুলিশ তাদের প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে ফিরিয়ে দেন। তবে সঙ্গে নিয়ে আসা খাবার ও ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়া হয় শফিক রেহমানের কাছে।

শফিক রেহমান

১২টা ২৫ মিনিটের দিকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তালেয়া রেহমান বলেন, সকালে আটক করার পর ডিবি অফিস থেকে ওষুধ ও সকালের নাস্তা চেয়ে ফোন করা হয়। এরপরই আমি সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে ১৫ ইস্কাটনের বাসা থেকে মিন্টো রোডস্থ ডিবি অফিসে রওয়ানা হই। আমাকে ডিবি অফিসের ওয়েটিং রুমে ওষুধ ও খাবার নিয়ে ভেতরে দিয়ে আসে। এরপর ডিবি অফিস থেকে জানানো হয়, দেখা করতে দেওয়া হবে না। আপনারা চলে যান।’

/এআরআর /এএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিরপুরে ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা
মিরপুরে ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা
অচিরেই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে
অচিরেই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে
রাজস্ব আদায়ে সব মাইলফলক অতিক্রম করবে: মেয়র তাপস
রাজস্ব আদায়ে সব মাইলফলক অতিক্রম করবে: মেয়র তাপস
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য আটক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য আটক
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক