শীতকাল না হলেও হাঁস বাজারে সহজলভ্য। শীতকালের মতো তৈলাক্ত হাঁস না হলেও বর্ষাকালেও খেতে কিন্তু দারুণ মজা। ঈদে প্রচুর গরু-মুরগী খাওয়া হয়েছে। ইলিশ, চিংড়ি, রুইও নিশ্চয় খেয়েছেন। এবার তাহলে একটু হাঁস হয়ে যাক। ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে হাঁস-রসুনের সন্ধি কিন্তু দারুণ জমবে এই বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায়। হাঁস রান্নার প্রধান উপকরণ সময়। প্রচুর সময় লাগে এই রান্না করতে। সন্ধ্যায় চুলায় চাপালে আশা করা যাচ্ছে রাত ১০টা নাগাদ প্লেটে পাওয়া যাবে। তাই সময় নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
উপকরণ:
১)হাঁস -১টি (প্রায় ৯০০গ্রাম)
(কেটে, বেছে, ধুয়ে নেওয়া)
২) পেঁয়াজ বাটা- ২টেবিল চামচ
৩) আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
৪) লবণ- পরিমাণমতো
৫) মরিচের গুঁড়া – যতটুকু ঝাল পছন্দ করেন ততটুকু
৬) হলুদের গুঁড়া- এক চা চামচ
৭) জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ
৮) ধনে গুঁড়া- ১ চা চামচ
৯) গরম মশলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
১০) সরিষা বাটা- ২ চা চামচ
১১) খোসা ছাড়ানো রসুন- ১ পোয়া
১২) সরিষার তেল- ১ কাপ
১৩) পানি- সামান্য
১৪) কাঁচামরিচ- ৭/৮টি
১৫) ভাজা জিরার গুঁড়া-১ চা চামচ
১৬) লেবুর রস- আধ কাপ
প্রণালী:
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে, রসুন, কাঁচা মরিচ, ভাজা জিরার গুঁড়া ও লেবুর রস ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে চাপিয়ে দিতে হবে। ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১ ঘণ্টার মধ্যে মাংস কশানো হয়ে ঝোল প্রায় শুকিয়ে তেল উপরে উঠে আসবে। এবার ঝোলসহ হাঁসের মাংস একটি ওভেন ট্রেতে দিয়ে তাতে ভাজা জিরার গুঁড়া, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ ও আস্ত রসুন মিশিয়ে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট বেক করবেন। রসুনের ভাজা ভাজা ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়লে নামিয়ে গরম ভাত বা পোলাউ দিয়ে পরিবেশন করুন।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।
/এফএএন/