X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষবরণে আল্পনার ছোঁয়া রাজধানীতে

হাসনাত নাঈম
১৪ এপ্রিল ২০১৮, ০৫:২৮আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০১৮, ০৫:২৮

আল্পনায় বৈশাখ নগরবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে মানিক মিয়া এভিনিউ এর দুপাশের পুরো রাস্তায় আঁকা হয়েছে আল্পনা। 'বার্জার আল্পনায় বৈশাখ ১৪২৫' শিরোনামে এ আল্পনা আঁকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে এশিয়াটিক ইএক্সপি। আর ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে এগারোটায় রাস্তায় রঙের আঁচড় দিয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

এসময় আরো ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর,বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, এশিয়াটিক ইএক্সপি এর এমডি ইরেশ যাকের ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান কেদার লেলে।

আল্পনায় বৈশাখ ৬ষ্ঠ বারের মতো আয়োজিত এই আল্পনা অনুষ্ঠানের নকশাটি করেছেন প্রখ্যাত চিত্রকর মো: মনিরুজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ' ১৪২৪ কে বিদায় জানিয়ে ১৪২৫ কে স্বাগত জানাচ্ছি আল্পনা আঁকা, ছবি আঁকা, নৃত্য ও গানের মাধ্যমে। বাঙালির চিরায়িত সার্বজনীন উৎস এই বর্ষবরণকে আল্পনায় আঁকার একটি কারণ হচ্ছে, গ্রামীন কৃষক আগে নববর্ষে ঘরের মেঝেতে চাউলের গুড়ো দিয়ে আল্পনা আঁকত। মূলত সে জায়গা থেকেই আল্পনার উৎপত্তি। মূলত আল্পনা আঁকার মধ্য দিয়ে আমরা স্মরণ করতে চাই সেই কৃষক পরিবারকে। আমরা তোমাদের পাশে আছি। মঙ্গল শোভাযাত্রা ও এই আল্পনা আঁকার মধ্য দিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা করে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাই'।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা প্রধান অতিথির উদ্বোধনের পর পরই সর্বসাধারণের জন্য আল্পনা আঁকা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এবার ৩৫০ জন চিত্র শিল্পীসহ মোট ৬৫০ জনের বেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি মনা জন সাধারণ অংশগ্রহন করেন। ভোর ৬টা পর্যন্ত চলে এই আল্পনা আঁকার কাজ। নানা বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সারা রাত উৎসব মুখর পরিবেশে চলে আল্পনা আঁকা।

অন্য দিকের মঞ্চে রাত ভর চলে বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীরা গান পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন আগত নগরবাসীদের। মূলত চিত্রশিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতেই এই সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন। রাত গভীর হলেও সে সময় হাজারো নগরবাসীর মিলন মেলা ঘটেছিলা মানিক মিয়া এভিনিউতে।

বক্তব্য রাখছেন আসাদুজ্জামান নূর রাত তখন সাড়ে তিনটা। কথা হয় বসুন্ধরা থেকে আগত মিনহাজ দম্পত্তির সঙ্গে। তারা জানান, এই শহরে কাজে ভিড়ে খুব একটা সময় পাই না। কিন্তু বর্ষ বরণকে কেন্দ্র আয়োজিত এই আল্পনা আঁকার অনুষ্ঠানে এসে বেশ ভালো লাগছে। হাজারো মানুষের ভিড়ে নিজেদের উচ্ছাসিত মনে হচ্ছে।

ধানমন্ডি থেকে এসেছেন ৬ জনের একদল শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউডার সিএমএস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুন্নুন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জানান, 'বাসার কাছে এতো বড় আয়োজন, মিস করি কি করে? সব সময় আর তো আর এমন আয়োজন হয় না। নিশ্চিন্তে মানুষের ভিড়ে হাড়িয়ে যাচ্ছি আবার কখন গানের তালে তাল মেলাচ্ছি। উৎসব মুখর পরিবেশে রাত পার করছি। সকাল পর্যন্তই থাকার ইচ্ছা আছে এখানে।

আয়োজিত অনুষ্ঠান এছাড়াও প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয়েছে শিশু কিশোরদের আল্পনা আঁকার বিশেষ ব্যবস্থা 'সার্ফ এক্সেল মাঠশালা'। এতে সন্ধ্যা থেকে শতাধিক শিশু অংশগ্রহণ করে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, 'আমরা উন্নয়শীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিনত হতে চাই। আমরা চাই এই দেশ মানুষের দেশ হোক, কোন হয়েনার না। নতুন সূর্যদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে চাই সকলের মঙ্গলে জন্য। নতুনকে ধারণ করে শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই'।

প্রধান অতিথি হিসেবে ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, 'বর্ষ বরণের জন্য আল্পনা আঁকা একটি বিশেষ আয়োজন। আল্পনার রঙে দেশবাসীর মঙ্গল হোক এই নতুন বছরে। ১৪২৫ সকলের ঘরে বয়ে আনুক প্রশান্তি'।

ছবি: আহমদ সিফাত।

 

/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ