অনেক গুণের কাজু বাদাম

 

হৃদরোগ বাংলাদেশীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। কাজু বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) এর পরিমাণ কমিয়ে দেয় ও ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে।

আমরা যারা শহরে বসবাস করি ধুলোবালি ও দূষিত বায়ু তাদের জন্য নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এভাবে প্রতিদিন যদি চোখে ধুলা যায় তাহলে খুব সহজেই চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই যারা ধুলোর রাজ্যে বসবাস করেন তাদের উচিত নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়া। কারণ কাজু বাদামে আছে জিয়াজ্যানথিন নামক একটি পিগমেন্ট যা আপনার চোখের রেটিনাতে একটি আবরণ তৈরি করে চোখকে ধুলোবালি ও আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি ম্যাকুলার ডিজেনেরেশন নামক চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।

কাজু বাদামে উপস্থিত কপার অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। কপার একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস তাই এটি আমাদের দেহ থেকে ফ্রি র্যা ডিকেল বের করে দেয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে যেসব নারীদের অ্যানেমিয়া আছে, তাদের প্রতিদিন কাজু বাদাম খাওয়া উচিত।

কাজু বাদামের তেলে রয়েছে সেলেনিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস। যা আপনার ত্বককে দেবে দারুণ সুরক্ষা। তাছাড়া এতে উপস্থিত সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

ওজন কমাতে কাজু বাদামের জুড়ি মেলা ভার। এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে উপস্থিত ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে দেয় ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। তবে ওজন কমানোর জন্য কাজু বাদাম খেতে হবে কাঁচা ও লবণবিহীন।

কাজুবাদামে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলন ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা পালন করে।

চুলের যত্নে 

কাজু বাদামে উপস্থিত কপার চুলের রঞ্জক পদার্থ মেলাটোনিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, ফলে চুল হয় মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান।