X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে উবারের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:০৭আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৫৮

আজ (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে কার্যক্রমের চার বছর পূর্ণ করলো উবার। এখন পর্যন্ত ৪০ লাখেরও বেশি যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ১ লক্ষ ৭৫ হাজারেরও বেশি চালকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাইডশেয়ারিং কোম্পানিটি।

বাংলাদেশে উবারের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন


বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণে সহয়তা করতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার বিষয়ে উবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বাংলাদেশে ৪র্থ বর্ষপূর্তির মাইলফলক উপলক্ষে উবারের বাংলাদেশ এবং উত্তর ও পশ্চিম ভারতের প্রধান শিব শৈলেন্দ্রান বলেন, ‘উবার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার পাশাপাশি চালকদের সুবিধাজনক উপায়ে উপার্জন করার সুযোগ করে দেয়। আর তাই এই বর্ষপূর্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশে উবারের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও নতুন নতুন সার্ভিস আনার নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা আবারও সচল করতে উবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বর্ষপূর্তিতে ক্রমাগত সমর্থন ও আস্থার জন্য বাংলাদেশে আমাদের চালক ও যাত্রীদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।’

দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহার করার পর উবার ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক নতুন সার্ভিস চালু করেছে উবার। এর মধ্যে রয়েছে উবার কানেক্ট। এটি একটি পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিস, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাড়িতে থেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছে দিতে পারছেন। এছাড়া চালু করেছে উবার রেন্টালস সার্ভিস যা এই নিউ নরমাল সময়ে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একই গাড়িতে কয়েক ঘন্টা এবং একই সাথে কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রথম রাইডশেয়ারিং কোম্পানি উবার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে বিকাশের সাথে অংশীদারিত্ব করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট অপশন বা স্পর্শহীন লেনদেন ব্যবস্থা চালু করে। বিশ্বব্যাপী ঘটে যাওয়া করোনা মহামারির পরে উবার-বিকাশের এই অংশীদারিত্বটি একটি গুরত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে উবার। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রত্যেক উবার ব্যবহারকারীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্পর্শহীন, ক্যাশলেস বা নগদবিহীন ও ঝামেলামুক্ত উপায়ে ভাড়া দেয়ার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।

গত কয়েক মাসে, উবারের টেক ও সেফটি টিম নতুন নতুন সার্ভিস আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক উবার ব্যবহারকারী এই প্ল্যাটফর্মটি নিরাপদে ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের জন্য কোম্পানিটি নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে বেশ কিছু সেফটি ফিচার চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে ইন্টার‍্যাক্টিভ গো-অনলাইন চেকলিস্ট, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, যাত্রী ও চালক উভয়ের জন্য ইন্ডাস্ট্রির প্রথম প্রি-ট্রিপ মাস্ক ভেরিফিকেশন সেলফি।

এছাড়াও নভেম্বর মাসে উবার একটি সার্বক্ষণিক সেফটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে যার মাধ্যমে যাত্রার সময় জরুরি কিংবা ছোটখাট সমস্যা যেমন- চালক বা যাত্রীর দুর্ব্যবহার, কোনও বিষয় নিয়ে মতবিরোধ বা গাড়ির সমস্যায় যাত্রীরা উবারের সেফটি টিমের প্রতিনিধির সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। এই সেফটি হেল্পলাইন নম্বরটির পাশাপাশি ইতোমধ্যেই উবার অ্যাপের সেফটি টুলকিটের মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে এসওএস ৯৯৯ বাটন, যা ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সরাসরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যুক্ত করে।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?