X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

কন্যাশিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান? শুরুতেই করুন এ কাজগুলো

ফয়সল আবদুল্লাহ
১৩ মার্চ ২০২১, ১২:৩৩আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২১, ১২:৩৩

‘প্যারেন্টিং’ মানেই শুধু যত্ন-আত্তি আর তিন বেলা সময় করে খাওয়ানো নয়। শিশুকে শেখাতে হয়, গড়ে তুলতে হয় অনেক নতুন পরিস্থিতির জন্য। এ উপমহাদেশের সামাজিক চক্রটা এমন পোক্ত যে, শুরু থেকেই কন্যাশিশুর সামাজিকীকরণে একটু বাড়তি নজর না দিলেই নয়। আর মেয়েকে যদি ভালোমতো আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চান, তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন নির্দ্বিধায়।

শুরু থেকেই
মেয়ের বয়স বাড়ার জন্য বসে থাকলে হবে না। মন গঠনের ট্রেনিংটা দিতে হয় শিশুকাল থেকেই। এতে বড় হয়ে যতই ঠোকর খাক, আত্মসম্মান থাকবে অটুট।

বড় স্বপ্ন
শুরু থেকে মেয়েশিশুকে এটা বোঝাতে যাবেন না যে তাকে ঘরের কাজেও বাড়তি মনযোগ দিতে হবে। ঘরের কাজের গণ্ডি ছাড়িয়ে বড় স্বপ্ন দেখাতে শেখান। ঘরের কাজে আগ্রহী হলে তাতে বাধা নেই বটে, তবে খেয়াল রাখবেন কেউ যাতে মজা করেও যেন না বলে-খুকি এটা কিন্তু তোমার কাজ!

সমর্থন দিতেই থাকুন
আপাতদৃষ্টে শিশুরা উল্টোপাল্টা ইচ্ছের কথা বলবেই। কিন্তু তাতে সরাসরি না বলতে যাবেন না। একপর্যায়ে শিশুর সেই ‘উল্টোপাল্টা’ ইচ্ছেটাই দেখবেন ধীরে ধীরে পরিশালীত হচ্ছে। আর তার এ চর্চায় আপনার কাজ একটাই, যতভাবে পারুন তাকে সমর্থন দিন।

সমাজ হতে সাবধান!
এই সমাজকে না যায় ধরা, না যায় ছোঁয়া। এড়ানোর জো নেই, আবার বেশি প্রশ্রয় দিলেই উটকো ঝামেলা। আপাতত নিজের কন্যাশিশুটিকে ‘সমাজের প্রত্যাশা’ থেকে দূরে রাখুন। সমাজের কোনও কিছু যেন তার চিন্তার জগতে কম্বলের মতো জেঁকে না বসে সেদিকে নজর রাখতে হবে আপনাকেই। শুরুর দিকে মনে করুন আপনিই তার ‘সমাজ’। ভালো-মন্দ, বিপদজনক কাজ, নিরাপদ থাকার কৌশল; এসব শেখান ধীরেসুস্থে। আগাগোড়া আটকানো একটা সমাজের মগজজাত মানুষ যেন না হয় সে।

গঠন নিয়ে মন্তব্য নয়
নিজে তো বটেই, অন্য কাউকেও নিষেধ করে দিন যেন শিশুর সামনে তার শারীরিক গঠন বা অন্য কোনও বৈশিষ্ট্য নিয়ে অযাচিত মন্তব্য না করে। বিশেষ করে মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে আমাদের এদিকটায় এমন মন্তব্যের বেশ চল আছে। অথচ দেখুন, ক’দিন আগেই ব্রিটিশ রাজ পরিবারের এক শিশুর গায়ের রঙ নিয়ে করা মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কেমন হইচই পড়ে গেল!

বিনোদনের খোরাক নয়
অনেক অভিভাবকই সুযোগ পেলে নিজের শিশুদের উৎসাহ দিতে থাকেন অন্যের সামনে কিছু করে দেখানোর। বিশেষ করে মেয়েশিশুদের তো ‘একটু নেচে দেখাও’, ‘ছড়া পড়ে শোনাও’ এসব প্রায়ই শুনতে হচ্ছে। এতে শিশুর চেহারায় খুশি খুশি ভাব দেখা গেলেও তার আত্মবিশ্বাসে কিন্তু চিড় ধরবে। মনে রাখবেন, সবাইকে বিনোদিত করা কিন্তু আপনার কন্যাশিশুর কাজ নয়।

অপশন দিন
খেলনা হোক, ছবি আঁকার বিষয় হোক বা নতুন কিছু করা; শিশুকে একগাদা অপশন দিন। যেন সে নিজের মতো করে বেছে নিতে পারে। এখানেও দেখা যায় আমাদের এদিকটায় মেয়েশিশুর হাতে অপশন দেওয়া হয় কম। বিশেষ করে খেলনা বাছাইয়ে এমনটা দেখা যায়। মেয়েশিশু মানেই যে হাড়ি-পাতিল বা বসে বসে ছবি আঁকা শিখবে এমনটা নয়। অনেকগুলো অপশন তার সামনে রাখুন, বেছে নিতে নিতে একসময় একটা কিছুর প্রতি তার আত্মবিশ্বাস জন্মাবেই।

চাই রোল মডেল
আপনি নিজে বড় কিছু হতে নাও পারেন, কিন্তু স্বপ্ন আছে মেয়ে একসময় বিরাট কিছু হয়ে দেখাবে। তাই সময় থাকতে, অর্থাৎ মেয়েটা ছোট থাকতেই চেষ্টা করুন তাকে তেমন বিরাট কারোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে যত আসবে, তত বাড়বে আত্মবিশ্বাস। ততই সে বুঝতে পারবে, আরে! চাইলে তো আমিও এমন হতে পারি!

/এফএ/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন