স্থুলতা, লিভারের রোগ অথবা হার্টের রোগের অন্যতম কারণ বলা হয় সাদা চিনিকে। চিনিতে থাকা গ্লাইসেমিক উপাদানকে চিকিৎসকরা বিষের মতোই ক্ষতিকর বলেন। তবে এখন স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অস্বাস্থ্যকর চিনির বদলে অনেকেই ঝুঁকছেন বিকল্প চিনিতে। এমনই এক ধরনের চিনি হচ্ছে কোকোনাট সুগার। চিনির চমৎকার বিকল্প হিসেবে এটি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
কোকোনাট সুগার বা নারকেলের চিনি কী?
নারকেল গাছের মোচি বা ফুলের রস সংগ্রহ করে উচ্চতাপে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে তৈরি করা হয় এই চিনি। মিষ্টি স্বাদের কোকোনাট সুগার খেলে নেই বড় ধরনের কোনও স্বাস্থ্যঝুঁকি।
যেসব কারণে কোকোনাট সুগার খাবেন
- খুব সহজে বেকিং আইটেমে যোগ করতে পারেন কোকোনাট সুগার। রান্নাতেও দেওয়া যায়। চা/কফিতে মিষ্টি স্বাদ আনতে এটি কার্যকর।
- রিফাইন্ড সুগারের মতো শরীরের জন্য ক্ষতিকর গ্লাইসেমিক নেই কোকোনাট সুগারে।
- ইলেক্ট্রোলাইট পাওয়া যায় নারকেলের চিনি থেকে। হার্ট, নার্ভ ও পেশীর সুস্থতার জন্য এটি ভীষণ জরুরি।
- কোকোনাট সুগারে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম। এগুলো সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়।
- ডায়াটারি ফাইবার ইনুলিন পাওয়া যায় এই চিনি থেকে। এটি হজমে সহায়ক ও কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- সুক্রোসের পরিমাণ কম থাকে নারকেলের চিনিতে। ৭৫ শতাংশ সুক্রোসের পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডায়াটারি ফাইবার।
- ভিটামিন সি মেলে কোকোনাট সুগার থেকে। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ত্বক ও চুল সুস্থ রাখে।
- নাইট্রোজেন রয়েছে কোকোনাট সুগারে। কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ ভালো রাখে এই উপাদান।
- এতে থাকা জিঙ্ক ও ক্যালসিয়াম সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়।