বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাপদে রাখতে শিশুকে সঠিক উপায়ে হাত ধুতে উৎসাহিত করা জরুরি। কীভাবে হাত ধোয়াকে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে পরিণত করা যায় সে সম্পর্কে কিছু টিপস জেনে নিন।
১। হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে গল্প করুন
আপনার সন্তানকে জানান যে হাত ধোয়া তাকে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখতে পারে। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস তাকে এবং তার আশেপাশের অন্যদের অসুস্থ করে তুলতে পারে। কীভাবে জীবাণু অদৃশ্য হওয়া সত্ত্বেও হাতে থাকতে পারে সে সম্পর্কে তাদের বোঝান। বুঝিয়ে বলুন যে নিয়মিত হাত ধোয়া দাঁত ব্রাশ করা বা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
২। হাত ধোয়ার সঠিক পদক্ষেপগুলো শেখান
হাতের সংক্রমণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণভাবে দূর করতে শুধু ঝটপট হাত ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট নয়। সঠিক উপায়ে ধাপে ধাপে ধুতে হবে হাত। প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে পর্যাপ্ত সাবান লাগাতে হবে। এরপর দুই হাত ভালো করে ২০ সেকেন্ড ঘষতে হবে। হাতের তালুর দুইদিক এবং আঙুলের ফাঁকেও ঘষতে হবে। এরপর হাত ভালো করে ধুয়ে মুছে ফেলতে হবে।
৩। হাত ধোয়ার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না
কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। শিশু হাত ধোয়ার সময় গান শোনাতে পারেন তাকে। বলবেন যতক্ষণ গান চলবে ততক্ষণ ধরে হাত ধুতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে এমন স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে যাতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাতে ঘষতে হবে।
৪। শিশুর হাত ধোয়ার সময় ঠিক করে দিন
শিশুকে বলুন যে কিছু সময় রয়েছে যখন অবশ্যই হাত ধুতে হবে। যেমন যখন হাত দৃশ্যমানভাবে নোংরা হয়, খাওয়ার আগে এবং পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর, প্রাণী এবং পোষা প্রাণী স্পর্শ করার পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে।
৫। হাত ধোয়াকে মজার পারিবারিক কার্যকলাপে পরিণত করুন
শিশুর হাত ধোয়াকে সহজ ও মজাদার করতে একসঙ্গে গান গাওয়া যেতে পারে। খাবার খাওয়ার আগে ও পরে পরিবারের সবাই একসঙ্গে হাত ধুতে পারেন। এতে শিশু আগ্রহ পাবে। বেসিনের কাছে একটি টুল রেখে দিন যেন শিশু নিজেই সেখানে উঠে হাত ধুতে পারে।