আপনি কি ডায়েটে আছেন? আপনি কি সবসময় ক্ষুধার্ত বোধ করেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এই নিবন্ধটি আপনার জন্যই!
ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় আমরা একেকজন একেরকম ডায়েট অনুসরণ করি। কেউ কেউ বেশি প্রোটিন গ্রহণকে উৎসাহিত করে, কেউ আবার কার্বোহাইড্রেট বর্জন করে পুরোপুরি। প্রতিটি ব্যক্তির ওজন কমানোর এবং ফিট থাকার জন্য আলাদা প্যাটার্ন রয়েছে। কিন্তু একটি জিনিস প্রায় প্রত্যেকেই অভিযোগ করেন। সেটা হলো ডায়েট চলাকালীন সময়ে ক্ষুধা লাগে প্রচণ্ড। স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং কিছু খাবার এড়িয়ে চলার এই সময় প্রায় প্রায় ক্ষুধা লাগার বিষয়টি বেশ কষ্টকর। আবার খালি পেটে থাকা স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
আমেরিকান জার্নাল অব ফিজিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি এবং মেটাবলিজমে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, মানুষ যখন ওজন কমানোর জন্য কম ক্যালোরি গ্রহণ করে, তখন তাদের শরীর ঘেরলিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে যা তাদের ক্ষুধার্ত করে তোলে। প্রত্যেক ব্যক্তির এই হরমোন থাকে, এবং যদি আপনার ওজন বেশি হয় এবং তারপরে ওজন হ্রাস হয় তবে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষুধা নিবারণের জন্য, হয় তারা বেশি খাবার খেয়ে ফেলে অথবা খালি পেটে থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাধিয়ে ফেলে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ সিমরুন চোপড়া কিছু টিপস জানিয়েছেন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা দিয়ে সকাল শুরু করুন। এটি আপনাকে সারা দিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করার পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে। হঠাৎ ক্ষুধার্ত বোধ করা এবং এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
- দুপুর বআ রাতের খাবারের আগে পর্যাপ্ত পানি করুন এবং শাকসবজি খান। ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে কমপক্ষে এক গ্লাস পানি খান খাওয়ার আগে। এছাড়া খাবার শুরু করার আগে কিছু শাকসবজি খেলেও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
- প্রতি বেলার খাবারে প্রোটিন রাখুন, এমনকি তা এক কাপ দই হলেও। কারণ প্রোটিন ঘেরলিন হরমোনের নিঃসরণে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।