এক কামড় চকলেটের নিমিষেই মন ভালো করে দেওয়ার দারুণ ক্ষমতা রয়েছে। যে কোনও আনন্দের উপলক্ষে আমরা প্রিয়জনকে তাই উপহার দিই চকলেট। আজ ৭ জুলাই বিশ্ব চকলেট দিবস। অবশ্য আরও কয়েকদিন পালিত হয় দিবসটি। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসের সপ্তাহেও পালিত হয় চকলেট দিবস।
বিবিসি সায়েন্স ম্যাগাজিনের তথ্য মতে, চকলেট মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা মানুষকে আনন্দিত করে। ১৯৯৬ সালের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এটি।
চকলেটে মস্তিষ্ককে আনন্দিত করার মতো অনেকগুলো যৌগ থাকে। ফেনাইলথাইলামাইন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট। প্রেমে পড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক যে রাসায়নিকগুলো তৈরি করে তার মধ্যে একটি ফেনাইলথাইলামাইন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন মতে, চকলেটে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর সেরোটোনিন তৈরি করতে ব্যবহার করে। এটি একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা শিথিলতা এবং সুস্থতার অনুভূতি দেয় আমাদের। ফলে এক টুকরো চকলেট মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে প্রশান্তি দিতে পারে।
ডার্ক চকলেট ম্যাগনেসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। এই খনিজটি উদ্বেগ এবং চাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিমিতভাবে ডার্ক চকলেট খেলে উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে।
চকলেটের আরও কিছু উপকারিতা
- ডার্ক চকলেট হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীর (কার্ডিওভাসকুলার) রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। ডার্ক চকলেটে প্রদাহবিরোধী প্রভাব রয়েছে এবং সেইসাথে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এমনটা বলছে হেলথলাইন ওয়েবসাইট।
- কোকোর ফ্ল্যাভানলগুলো ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় বলে মনে করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- ডার্ক চকলেট ত্বকে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে পারে এবং সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে ত্বককে।
- রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে ডার্ক চকলেট। এতে ক্যাফেইন এবং থিওব্রোমিনের মতো উদ্দীপকও রয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে ওয়েবএমডি ওয়েবসাইট।