বসন্তের বাতাস এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে প্রকৃতিতে। শীতের প্রকোপও কমে গেছে অনেকটাই। ফুলে ফুলে সেজে ওঠার আনন্দময় প্রস্তুতি এখন প্রকৃতিজুড়ে। বসন্তবরণের প্রস্তুতি চলছে ফ্যাশন সচেতনদের মধ্যেও। হলুদ নাকি বাসন্তী রঙ বেছে নিচ্ছেন পোশাকে? পোশাক কী শাড়ি হচ্ছে নাকি সালোয়ার কামিজ?
সদ্য জেগে ওঠা প্রকৃতিতে প্রাণের আবেশ নিয়ে আসতে বাসন্তী শাড়িতে সেজে ওঠার ঐতিহ্য যুগ যুগের। হলুদ বা কমলা শাড়ি আর গাঁদার মালা ছাড়া যেন বসন্তবরণ উৎসব অসম্পূর্ণ। তবে আজকাল কিন্তু একেবারে কনট্রাস্ট রঙের সাজপোশাকও পছন্দ করছেন অনেকে। যেমন সাদার সঙ্গে হলুদ আলো ছড়াচ্ছে, আবার ম্যাজেন্টার সঙ্গেও সবুজ রঙের দাপুটে সাজ চোখে পড়ছে। সবুজ, হলুদের বিভিন্ন শেডে যেমন থাকতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্য, তেমনি একেবারে ভিন্ন দুটি বা কয়েকটি রঙের ছোঁয়াতেও মেতে উঠতে পারেন আনন্দ উৎসবে।
এ সময়টাতে সারাদিন পরে থাকার জন্য সুতির শাড়ি বেশ আরামদায়ক। আবার তাঁত, কোটা বা জামদানি শাড়ির পাশাপাশি সিল্ক, হাফ সিল্ক, শিফন এমনকি হালকা কারুকাজ করা কাতান শাড়িতেও থাকতে পারেন ফিটফাট।
স্কার্ট, চুড়িদার কিংবা প্যান্ট পাজামার সাথে কুর্তি মানিয়ে যায় বেশ, দেখতেও লাগে ফ্যাশনেবল। পছন্দের রঙের কুর্তি, সাথে মিলিয়ে গয়না আর হাতে কিংবা মাথায় একগুচ্ছ ফুল- ব্যস! হয়ে গেল বসন্তের সাজ।
বসন্তে পরার জন্য যে নতুন পোশাকই কিনতে হবে এমন নয়। কমবেশি সবার ওয়ারড্রবেই থাকে লাল, হলুদ, সবুজ রঙগুলো। আগের কেনা পোশাকই নতুন স্টাইলে পরতে পারেন। সাদা টপের সঙ্গে পরতে পারেন হলুদ স্কার্ট কিংবা ঢিলা পায়জামার সঙ্গে পরতে পারেন ছোট হাতার টপ। জেন–জিরা টপস, প্যান্ট, স্কার্ট আর শাড়িতে সেজে উঠতে পারেন সহজেই। সঙ্গে হাতে জড়িয়ে নেওয়া ফুলের মালায় সাজের স্নিগ্ধতা বাড়বে।