X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলিগের সঙ্গে এসব না হওয়াই ভালো

ফয়সল আবদুল্লাহ
১৭ মে ২০২১, ১৯:০০আপডেট : ১৭ মে ২০২১, ১৯:০০

একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে এক অন্যরকম সম্পর্কের জন্ম হয়। সম্পর্কের নাম ‘কলিগ’ মানে সহকর্মী। এই কলিগ মানে ‘না বন্ধু, না শত্রু’। বাকি সব সম্পর্কের মতো এতেও আছে একটা বড়সড় প্রাচীর। প্রাচীর টপকালেই পড়তে হবে উটকো ঝামেলায়।

 

টাকা ধার নয়

একবার, দুবার বিপদে পড়ে কিছু ধার নেওয়াই যায়। কিন্তু প্রতিবার মাস শেষে যদি ব্যাপারটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়, তবে সম্পর্কের অবনতি হবেই। সহকর্মী আপনাকে দেখা মাত্রই আঁতকে উঠুক এটা নিশ্চয়ই আপনি চান না। তা ছাড়া ধারের টাকা সময়মতো ফেরত দেওয়ার বিষয়টাও দেখা যাবে কাজের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্কে বাগড়া বাঁধাচ্ছে।

 

আড্ডা বাদ দিন

আড্ডাটা বন্ধুদের সঙ্গেই সীমাবদ্ধ রাখুন। সহকর্মীর সঙ্গে, বিশেষ করে অফিসের সময় আড্ডা দেওয়াটা কখনই আপনার ক্যারিয়ারে ভালো ফল বয়ে আনবে না।

 

প্রশংসা নয়

আপনার একান্ত কাছের বা ঘনিষ্টজন না হলে কোনও সহকর্মীর কাজের প্রশংসা সরাসরি করতে যাবেন না। ওই সহকর্মী আপনার প্রশংসার অনেকগুলো অহেতুক কারণ অনুমান করে বসতে পারেন।

 

নেতিবাচক হবেন না

কাজের ক্ষেত্রে মোটামুটি সবাইকেই কোনও না কোনও চাপে থাকতে হয়। তাই কোনও টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রে সরাসরি কাউকে নেতিবাচক কিছু বলা থেকে বিরত থাকাই ভালো। বরং কাজটা কীভাবে আরও ভালো করে করা যেতো সে পথটাই বাতলে দিন।

 

ভেবেচিন্তে কথা

সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার আগে শব্দচয়ন নিয়ে ভাবতে হবে বেশ। কেউ আছে আপনার কঠিন বা আপত্তিকর কোনও শব্দ অনায়াসে হজম করে ফেলবে। আবার দেখা যাবে আপনার মুখ থেকে বের হওয়া কোনও একটি বিশেষ শব্দের কারণেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করতে পারে দক্ষ কোনও কর্মী।

 

স্বাস্থ্যটা নিজের কাছে

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনার জ্বর-সর্দি, পা মচকানো কিংবা আলসারের ব্যথা নিয়ে আপনার সহকর্মীদের মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। সুতরাং নিজের যাবতীয় শারীরিক সমস্যা যথাসম্ভব নিজের কাছেই রাখুন।

 

অন্য চাকরির আলাপ নয়

সহকর্মীর সঙ্গে কখনই এমনটা বলতে যাবেন না যে, এই চাকরি আপনার ভালো লাগছে না, আপনি আরেক জায়গায় যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কথায় কথায় ওই সহকর্মী নিজের অজান্তে তা ফাঁস করে দিতে পারে বসের কাছেও।

 

জাহির করবেন না

নিজেকে সাধারণ দায়িত্ব সম্পাদন করা নিয়ে অনবরত নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করবেন না। আবার সবার সামনে ঘন ঘন নিজের নামিদামি জিনিস কিংবা বাড়িগাড়ির স্বপ্নের কথাও বলতে যাবেন না। এতে আপনার প্রতি সহকর্মীর ঈর্ষার জন্ম হতে পারে। পরে কাজের বেলায় তার সহযোগিতা আপনি ঠিকঠাক না-ও পেতে পারেন।

 

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’