ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও যেন শেষ হচ্ছে না ঈদের আমেজ। আবার সপ্তাহের মাঝে হুটহাট একদিনের ছুটি পেয়ে গেলে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন হাতের কাছাকাছি থাকা বালু নদী থেকে। বেলাই বিল ও ঢাকার পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জলাভূমির উপর দিয়ে এই নদী গিয়ে পড়েছে শীতলক্ষ্যায়। এক বিকেলে বালু নদীতে নৌভ্রমণ করে ফেলতে পারেন।
নতুন বাজার থেকে পাওয়া যায় অটো কিংবা ইঞ্জিনচালিত রিকশা। আমেরিকান এমব্যাসির সামনে নেমে রাস্তা পার হলেই বাড্ডার বড় বাজার। এখান থেকেই নিয়ে নিন রিকশা কিংবা অটো। বেরাইদ ঘাট পর্যন্ত যেতে আপনাকে ভাড়া গুণতে হবে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। ৫ কিলোমিটার গেলে পেয়ে যাবেন নৌ ঘাট। ১০০ ফিটের রাস্তাটিও চমৎকার। দুই পাশের ফাকা স্থানে জন্মেছে কাশফুল। আকাশের সৌন্দর্যও অনেকটুকু দেখতে পারবেন পথ চলতে চলতে।
বন্ধুরা অনেক জন একসঙ্গে গেলে ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে নিন ঘণ্টা হিসেবে। প্রতি ঘণ্টা ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত পড়বে। চাইলে জনপ্রতি ভাড়াতেও নৌভ্রমণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোথায় নামবেন তার উপর নির্ভর করবে ভাড়া। সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত পড়বে ভাড়া।
নদীর দুই পাশে ফসলের মাঠ যেমন মনে ভালো লাগার পরশ বুলিয়ে যাবে, তেমনি নদীর বুকে সন্ধ্যা হতে দেখাও চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে সন্দেহ নেই। হুট করে সূর্য ডোবে না এখানে। রঙিন আকাশের লাল-বেগুনি রং যখন নেমে পড়ে নদীর পানিতে, যখন ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে ঝলমলে করে নানা রং- বুঝবেন শেষ হয়ে এসেছে দিন। এখানে খুব আয়োজন করে সন্ধ্যা নামে, মুগ্ধতার আবেশ ও পরশ নিয়ে।
ইছাপুরা, টঙ্গি, কাচপুর ব্রিজ কিংবা পূর্বাচলে নামতে পারেন নদী ঘোরা শেষ করে। পূর্বাচলে নামলে এখানকার গরম গরম মিষ্টি চেখে দেখতে ভুলবেন না!