X
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২
পাঠকের মুখোমুখি আনিসুল হক

‘লেখালেখির সময় নির্জনতার দেয়াল তুলে দেই’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ মার্চ ২০২১, ২১:৪২আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২১, ২১:৪৪

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেছেন, ‘লেখালেখি খুবই নির্জনতম একটি কাজ। যখন লেখি তখন চারপাশে নির্জনতার দেয়াল তুলে দেই।’ শুক্রবার (৫ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে পাঠকের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই অনুভূতি প্রকাশ করেন।

আনিসুল হক অনুদিত মিলান কুন্ডেরার ‘স্লোনেস’ উপন্যাসের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে পাঠকের মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আনিসুল হকের পাঠকরা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা, কবি পিয়াস মজিদ, মনোবিজ্ঞানী ডা. আহমেদ হেলাল, কবি রাশেদ আহমদ, গল্পকার তানজিনা হোসেন প্রমুখ।

 সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক আনিসুল হককে শুভাশীষ জানিয়ে বলেন, আমি তাকে বড় একজন লেখক মনে করি। তিনি সৈয়দ শামসুল হকের স্নেহভাজন ছিলেন। আনিসুল হক আমাদের জন্য লেখেন, মানুষের জন্য লেখেন।

আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফা আনিসুল হকের লেখা ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি?’ আবৃত্তি করেন। আনিসুল হক জীবিত অবস্থায় যেন রাষ্ট্রীয় সম্মান পান- সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি সেই দাবি জানান, পাঠককূলকেও সেই দাবি তুলতে বলেন।

‘লেখালেখির সময় নির্জনতার দেয়াল তুলে দেই’ হঠাৎ অনুবাদ কেন, পাঠকের এমন প্রশ্নের জবাবে ‘খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে’র লেখক বলেন, ‘আগে দুই একটা কবিতা অনুবাদ করেছি, দুই একটা গল্পও অনুবাদ করেছি। একটা বই, উপন্যাসিকা, পেন্ডেমিকের কারণে করেছি বলা যায়। করোনার সময়- জানি না বেঁচে থাকবো কিনা, জানি না পৃথিবী বাঁচবে কিনা। আমি থাকবো কি, থাকবো না- সেই সংকট থেকে বাঁচার জন্য আমি প্রতিদিন এক চ্যাপ্টার করে অনুবাদ করতাম।’

একজন লেখক জনপ্রিয়তার স্বাদ কিভাবে উপভোগ করেন, লেখকের দায় কিভাবে দেখেন, পাঠকের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘জনপ্রিয়তা খুবই মজার, জনপ্রিয়তা খুবই উপভোগ করি। কিছু অসুবিধা তো হয়ই। যদি জনপ্রিয়তা উপভোগ করি, সুবিধা নিই তাহলে অসুবিধা নেবো না কেন, দায় তো নিতেই হয়।’

‘লেখালেখির সময় নির্জনতার দেয়াল তুলে দেই’ একই সঙ্গে একজন লেখক হাসি, কান্না কিভাবে পার্থক্য করেন, মানে হাসির পাশাপাশি কান্নাকে ফুটিয়ে তোলেন কিভাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “আমি ‘মা’ লিখেছি, ‘গুড্ডু বুড়া’ লিখেছি আবার ‘চিয়ারি বা বুদু ওরাঁও কেন দেশ ত্যাগ করেছিল’ লিখেছি। একেকটা একেক রকম। আমরা যখন লিখতে বসি তখন এক ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই বসি। যখন উপন্যাস লিখতে বসি তখন কবিতা লিখি না। কবিতা লিখতে বসলে কবিতাই লিখি, নাটক নয়। আমার লেখার একটা প্রস্তুতি থাকে।”

তিনি বলেন, ‘আমরা তো একটা ঘোরের মধ্যে থেকে লিখি। ঘুমের মধ্যে কোনও একটা লাইন চলে এলো, চট করে উঠে লিখতে বসে যাই। লিখে ফেলি।’

 লেখালেখিতে কেন আসা বা কিভাবে এলেন এমন প্রশ্নে জবাবে ‘যারা ভোর এনেছিল’ -এর লেখক বলেন, তখন বুয়েটে ভর্তি হয়েছি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ক্লাস শুরু হচ্ছে না, এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। সে সময় রংপুরে এক নারীকে দেখে ভালো লেগে যায়, মুগ্ধ হই। লিখে ফেলি ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি?’ কবিতা। ঢাকায় ফিরে ঘোষণা দেই, ইঞ্জিনিয়ার হবো না, কবি হবো। তারপর থেকেতো সিরিয়াসলি লেখালেখির শুরু।

তিনি জানান, নারী চিত্ত জয়ের আকাঙ্ক্ষা থেকে লিখেছেন ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি’।

তিনি আরও জানান, যার জন্য কবিতা লেখা, সেই নারীর সঙ্গে তার ৫২ বছর বয়সে দেখা হয়েছে। সেই নারী তাকে ফোন করে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে জানান তিনি।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

/এইচএএইচ/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাল এক লাখ টাকা ২০ হাজারে বিক্রি
জাল এক লাখ টাকা ২০ হাজারে বিক্রি
মাস্কের সমালোচনা করলেন গেটস, দিলেন ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের প্রতিশ্রুতি
মাস্কের সমালোচনা করলেন গেটস, দিলেন ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের প্রতিশ্রুতি
যমুনা থেকে বাংলামোটর জনসমুদ্রে পরিণত করার ডাক হাসনাতের
যমুনা থেকে বাংলামোটর জনসমুদ্রে পরিণত করার ডাক হাসনাতের
বিএনপি নেতার টাকা দাবির অডিও রেকর্ড ভাইরাল, ‘এডিটেড’ বলছেন অভিযুক্ত
বিএনপি নেতার টাকা দাবির অডিও রেকর্ড ভাইরাল, ‘এডিটেড’ বলছেন অভিযুক্ত
সর্বাধিক পঠিত
‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’
‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’
দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
নৌ পুলিশের অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার
নৌ পুলিশের অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ