X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠ প্রতিক্রিয়া

ভয়ের সংস্কৃতি: অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণীর দালিলিক ভাষ্য

রাজীব নন্দী
১৫ মার্চ ২০২২, ১৮:১৪আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১৮:১৪

ভয় দ্বারা তাড়িত সংষ্কৃতি ‘ভয়ের সংস্কৃতি’। রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিদ্যায়তনিক পরিভাষা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরচিতি দু’টি শব্দ। ভয়ের সংস্কৃতি হলো সমাজ নির্মিত একটি মানসিক অবস্থা। এই অবস্থা ও পরিবেশ যখন প্রবল হয় তখন বলতে পারি একটি সমাজ ভয়ের সংস্কৃতি দ্বারা তাড়িত। ওই সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্যই তখন হয়ে ওঠে ‘ভয়’। বাংলাদেশের সমাজে যা নতুন নয়। এই নিবন্ধে বাংলাদেশি-আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের ‘ভয়ের সংস্কৃতি বাংলাদেশে রাষ্ট্র, রাজনীতি সমাজ ও ব্যক্তিজীবন’ (প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা, বাংলাদেশ ২০২১)’র পাঠ-মূল্যায়নের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।

১৯৯৪ সালে বইটির প্রাথমিক ভাষ্যে লেখক যেসব লক্ষণরেখা দেখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক চেহারা কল্পনা করেছেন, তার কতটুকু আজকের বাংলাদেশে এসে দৃশ্যমানভাবে প্রমাণিত তা মূল্যায়ন করতে গিয়ে এই প্রবন্ধ। এছাড়াও সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বেশ কিছু ইস্যুতে আমরা সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি প্রপঞ্চটি উচ্চারণ হতে দেখছি নানা পরিসরে। এখানে ভয়ের সংস্কৃতির মাত্রা ও পরিসর নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছে। ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ শব্দদয় এখন বহুল উচ্চারিত একটি প্রপঞ্চ। প্রবন্ধের শেষাংশে বেশ কিছু উদ্ধৃতির সন্নিবেশ করা হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে বইটি যে কেবল মলাটবন্দি বায়বীয় সাদা কাগজের অক্ষরের সমষ্টি, তা নয়; বরং বইটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজদেহের জন্য বহুলাংশে প্রাসঙ্গিক।

২০২২ সালে চলতি বইমেলায় বইটির তৃতীয় মুদ্রণ পাঠকের হাতে এসেছে। ২০১৪ সালে বইটি প্রকাশ করে প্রথমা প্রকাশন। এর আগে ১৯৯৪ সালে বইটির একটি ভাষ্য মুদ্রিত ছিল, কিন্তু ক্রমাগত পাঠক চাহিদা ও দীর্ঘসময় বইটির অনুপস্থিতি (আউট অব প্রিন্ট) রাজনৈতিক যোগাযোগ ভাষ্যকার ও গবেষকদের কাছে শিরোপীড়ার কারণ ছিল। সেই ১৯৯৪’র পর ২০১৪ ও ২০১৮ এরপর সর্বশেষ ২০২১-এ মোট চারটি সংষ্করণ প্রকাশ হলো।

রাজনীতিবিজ্ঞান, যোগাযোগবিদ্যা, সমাজতত্ত্বসহ নানান বিদ্যায়তনিক পরিসরের বাংলাভাষী-বিদ্যোৎসাহীদের মধ্যে তুমুল আলোচনা ও উৎসাহের জন্ম দেয় বইটি। পাঠকমহলে সাড়া ফেলার অন্যতম কারণ, ২৮ বছর আগে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ দেখতে পাওয়ার মতো লেখকের সুদূরপ্রসারী গবেষণা-ভাবনা। ভয়ের সংস্কৃতি নিয়ে বাংলা ভাষাতে এটি প্রথম মৌলিক বই যেখানে লেখক দ্ব্যর্তহীনভাবে বলেছেন ‘...ভয় গ্রাস করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ-জীবনকে। শাসনের ভিত্তি এবং সম্পর্কের ধরনের মধ্যেই রয়েছে জবরদস্তি, বলপ্রয়োগ ও ভীতির সঞ্চার।’

ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাতকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাত চারটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে: ১) ঐতিহাসিক ২) সমাজতাত্ত্বিক ৩) সাংবিধানিক ও ৪) নিবিড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ (যা অর্থনীতিতে ক্রীড়া তত্ত্ব বা game theory রূপে পরিচিত।’’ [খান, আকবর আলি (২০১১); অন্ধকারের উৎস হতে: সাহিত্য, সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতি সম্পর্কে আলোর সন্ধান, পাঠক সমাবেশ, ঢাকা, পৃষ্ঠা নং ১০৮] আকবর আলি খানের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের সূচকগুলোর মিল খুঁজে পাই আমরা আলী রীয়াজের বইতেও। আলী রীয়াজ তার বইতে বাংলাদেশের ভয়ের সংস্কৃতির বিস্তারের পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক সংঘাতকে দায়ী করছেন। ১০টি অধ্যায়ে চমৎকারভাবে তুলে ধরছেন পুরো বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার সংকট। বইটিতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজদেহে ভয়ের উৎস খুঁজেছেন এবং সর্বগ্রাসী সেই প্রবণতা থেকে মুক্ত হওয়ারও পথনির্দেশও করেছেন।

বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে ভয়ের সংস্কৃতির সংজ্ঞা, স্মারক ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন লেখক। ক্রমান্বয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘ভাবাদর্শের জাল’, তৃতীয় অধ্যায়ে ‘ভয়ের সংস্কৃতির রাজনৈতিক অর্থনীতি’ নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন। ওই অধ্যায়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব ও বিকাশ থেকে সংকটের সূত্রপাত করেছেন। চতুর্থ অধ্যায়ে তিনি আলোকপাত করেছেন, ‘অপহরণ, গুম, গুপ্তহত্যা, ক্রসফায়ার’ নিয়ে। পঞ্চম অধ্যায়ের আলোচনার বিষয়— ‘প্রান্তিকতা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী’। ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন ‘অনস্তিত্বশীল আদিবাসী জনগোষ্ঠী’ শিরোনামে বিশদ এক ব্যাখ্যা। সপ্তম অধ্যায়ে ‘নারী ও অধস্তনতা’, অষ্টম অধ্যায়ে ‘হিন্দু জনগোষ্ঠীর অনিশ্চিত জীবন’। নবম অধ্যায়ে ‘ফতোয়া ও সালিসের রাজনীতি’ অধ্যায়ে তিনি সমাজে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ক্রমপ্রসারমানতা নিয়ে প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরেছেন সমাজে রাজনৈতিক ও সামাজিক ইসলামের ব্যবহার। সর্বশেষ অর্থাৎ দশম অধ্যায়ে তিনি সংকটের সমাধানও টেনেছেন। উপসংহারে বলেছেন ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হওয়ার পথ কী।

 

বইটির রচনাকালে (১৯৯৪) লেখক একটি নির্বিকার ও ভয়াবহ সমাজের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি আশঙ্কা করেছেন সমাজে অধস্তন বা ভিন্নমতের ওপর বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং সমাজে বাড়বে অসহিষ্ণুতা। এমন বিরলভাষ্য এবং তার অব্যর্থ সত্যভাষণ কিছুটা হলেও মানুষের মননজগতে প্রশ্ন ও কৌতুহল তৈরি করে।

বইটি আমাদের সময়ের ঐতিহাসিক দলিল। যাকে বলা যেতে পারে রাজনৈতিক পূর্বাভাষ তথা অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণীর দলিল। কেন ভবিষ্যদ্বাণী বলছি, এবার সে প্রসঙ্গে আসি। বাংলাদেশ সবসময় একটি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরও দেশটির ‘ইতিহাস’ সুখকর নয়। সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড ক্রমাগত এই দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির অঙ্গ। এই যাত্রাটির শুরু এক দীর্ঘ সর্পিল, ভগ্ন, বন্ধুর পথে। যে যাত্রার পথ মসৃণ নয়। ভয় আর আতঙ্ক এই জনপদের চক্রের আবর্তনের মতো ঘুরে ফিরে আসে। একটি সহিংস রক্ষপ্লাবি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পরও স্বাধীন দেশে সহিংসতার কম নেই, বরং তা বেড়েই চলেছে। এটি সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য ভীতি ও উদ্বেগের কারণ। আলোচ্য বইটি এই ভয়ের সংস্কৃতি নিয়ে বিশদ ও অনুপুঙ্খ আলোচনা হাজির করে।

বইটির মূলভাব— ভয় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির মৌলিক উপাদান। শাসক ও বিরোধী জোটের মধ্যে একটি আশঙ্কা দৃশ্যমান যে— আজ যে/যারা নিরাপদ, কাল সে/তারা পতিত হতে পারে চরম অনিশ্চয়তায়। এই অনিশ্চয়তার হাত ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতি সংখ্যাগরিষ্ঠের নামে আধিপত্যের শাসনের দিকে চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের শাসন কাঠামোতে অন্যতম দৃশ্যমান চরিত্র হচ্ছে ভয়। ভয়ের সংস্কৃতি কী? কীভাবে তা বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজদেহে বিকশিত হলো? এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলছেন— ‘বাংলাদেশে যে সংস্কৃতি নির্মীয়মান, ইতোমধ্যে নির্মিত ও প্রবলভাবে বিরাজমান আমরা তাকে বলতে পারি ভয়ের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির প্রধান উপাদান হল সন্ত্রাস এবং আতঙ্ক। ভীতি উৎপাদন ও পুনরুৎপাদনের মধ্যেই এই সংস্কৃতির সূচনা, বিকাশ ও স্থায়িত্ব। ভয়ের সংস্কৃতি হলো এমন এক আবহাওয়া ও পরিবেশ যেখানে আতঙ্ক, সন্ত্রাস ও বলপ্রয়োগ একাধারে ক্ষমতার/শাসনের একটি ধরন এবং পারস্পরিক সম্পর্কের নির্ণায়ক। অর্থাৎ সমাজে উপস্থিত শ্রেণি, গোষ্ঠী, ব্যক্তিসমূহের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে জবরদস্তি, স্বেচ্ছাচারিতা’ (পৃষ্ঠা ১১)।

উপরিউক্ত সহিংসতার মূলকেন্দ্র হলো ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার যুদ্ধ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, ভবন ধস, লঞ্চডুবির মতো ভয়াবহ সব আইনবিরুদ্ধ কার্যক্রম। দেশজুড়ে ধর্মান্ধ শক্তির আস্ফালনের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটেছে মুক্তচিন্তার কণ্ঠস্বরকে।

সমাজে যখন বলপ্রয়োগ এবং আধিপত্যই হয়ে ওঠে স্বাভাবিক প্রবণতা, তখন মানুষ যুক্তি আর সহিষ্ণুতা ভুলে যায়। আইন ও বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে উত্তেজিত জনতা সম্মিলিতভাবে বিচার হাতে তুলে নেয়। শুরু হয় মব লিঞ্চিং বা গণপ্রহার।

মানুষ প্রতিবাদহীন অবস্থায় ভয়ের চাদরে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। সমাজে গুম হওয়া মানুষরা যেমন ঠাঁই নিচ্ছে ‘নেই’ মানুষের তালিকায়, তেমনি অপরের গুম হওয়া দেখে আরও ১০ জন নীরব হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র কখনও কখনও অপার দায়মুক্তি ভোগ করছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ ‘চুপ’ করে থাকাকেই আপাত সমাধান বলে মেনে নিয়েছে। অব্যাহত পরিস্থিতি সমাজে এক ধরনের নির্বিকার দর্শক-শ্রোতা তৈরি করছে। যারা নিজেরা আতঙ্কিত এবং সম্ভাব্য সন্ত্রাসী তৎপরতার আশঙ্কায় নিজেদের অসহায় ভাবতে শুরু করেন। তারা কার্যত নিষ্ক্রিয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক ১৪৪ পৃষ্ঠার বইটিতে তার অনুমানের স্বপক্ষে যেমন তথ্যনির্দেশ হাজির করেছেন, তেমনি আশঙ্কাগুলো জানিয়ে গেছেন অত্যন্ত মার্জিত কিন্তু ক্ষুরধার যুক্তিতে।

লেখক বেঁচে থাকেন তার লেখায়। ‘ভয়ের সংস্কৃতি: বাংলাদেশে আতঙ্ক ও সন্ত্রাসের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ বইটি একটি মৌলিক প্রয়াস। প্রকাশের প্রায় দু’দশক পরেও ভয়ের সংস্কৃতি যে এখনও প্রাসঙ্গিক সেটা এক অর্থে ‘অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণী’ হলেও বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট ‘উদ্বেগজনক’ও বটে।

 

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী