X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১
কী লিখছি কী পড়ছি

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে লিখছি, পড়ছি ।। কবির হুমায়ূন

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : তাসনীয়া নওরীন তুবা 
২৭ মে ২০২৩, ১৮:৫৩আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, ১৮:৫৫

কবির হুমায়ূন বাংলাদেশের নব্বই দশকের কবি ও অনুবাদক। চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন চীনে। পেশায় সাংবাদিক। প্রকাশিত গ্রন্থ দশের অধিক।


প্রশ্ন : বইমেলার পরে কী লিখছেন?
উত্তর : একটা লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

প্রশ্ন : কী ধরনের লেখা?
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে লিখছি; যা বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর চিন্তার বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জনপদ কীভাবে পাল্টে যাচ্ছে, অর্থনীতির উপর কেমন প্রভাব ফেলছে, সমাজের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে এবং এই বিষয়টা সারা পৃথিবীর সাহিত্যে কীভাবে এসেছে- এসব নিয়ে ভাবছি।

প্রশ্ন : বাংলা সাহিত্যে জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে এসেছে?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে খুব বড় মাপের কিছু কাজ আছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। যেমন : অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’, সেলিনা হোসেনের ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি।’

প্রশ্ন : বিশ্বসাহিত্যে?
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারা পৃথিবীতে যত কাজ হয়েছে তারমধ্যে অন্যতম অমিতাভ ঘোষের দুটি উপন্যাস- The hungry tide, Gun Island. এখানে ক্লাইমেট চেঞ্জ কীভাবে হচ্ছে এবং এর কেমন প্রভাব পরছে তা দেখানো হয়েছে।
সাহিত্য এক জায়গায় থেমে থাকতে পারে না। শুধু ফুল, লতাপাতা, পাখি, বন ও প্রেমের কথাবার্তা নিয়ে তো আর সাহিত্য টিকে থাকবে না। এখন বলা হচ্ছে, সাহিত্যে নতুন কিছু নেই, নতুন কিছু থাকবে কী করে, নতুন কিছু তো চিন্তা করতে হবে, ভাবতে হবে। কী নেই, কী আছে, কী করতে হবে এই বিষয়গুলো তো চিন্তা করতে হবে।

প্রশ্ন : বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীর সঙ্গে বাংলাদেশেরও জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
উত্তর : অপরিকল্পিত শিল্পবিপ্লব এর কারণ। দেবেশ রায়ের বই ‘শিল্পায়নের প্রতিবেদন’-এ অনেক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। তবে মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে একথা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের যে ভূখণ্ড, এই ভূখণ্ডের যে লোকসংখ্যা সে পরিমাণ ঘর বা বাসস্থান তৈরি হচ্ছে- তার উপরে দেশজুড়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে, এর প্রভাব প্রকৃতিতে পড়ছে। একটা দেশের কত শতাংশ বাসস্থান থাকবে, কত শতাংশ বনভূমি থাকবে, কত শতাংশ চাষের জমি ও নদনদী ইত্যাদি থাকবে এসব মান বাংলাদেশে রক্ষা করা হচ্ছে না; সুন্দরবন নষ্ট করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৈরি করে শিল্পায়ন করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা পরিবেশের ক্ষতি করছি। আমি উন্নয়ন বিরোধী নই, কিন্তু পরিবেশ বাঁচিয়েও তো উন্নয়ন করা সম্ভব। ঢাকার সাত মসজিদ রোডে যেভাবে হাজারখানেক গাছ কেটে ফেলা হলো উন্নয়নের নামে- এই গাছগুলো বাঁচিয়েও তো উন্নয়ন করা যেতো। কেউ কিছু শুনছে না, মানছে না।
আমরা উন্নয়নের নামে নগরায়ণ করেই চলেছি। আমাদের যে পরিমাণ বন দরকার তা নেই। নদীগুলো একদিকে দূষিত হচ্ছে, অপরদিকে দখল করে ফেলছে। এতে পরিবেশের স্বাভাবিক গতি বিনষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ একসময় সবই ছিল, কিন্তু এখন কিছুই নেই পুঁজিপতিদের দখলদারিত্বের জন্য। শুধু নগরায়ণ করলে জলবায়ুর পরিবর্তন হবেই।

প্রশ্ন : আপনার লেখায় জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিষয়গুলোয় আসছে?
উত্তর : আমি এই বিষয়গুলো নিয়েই ভাবছি, পড়াশোনা করছি এবং লেখার পরিকল্পনা করছি।



পুতুলনাচের ইতিকথা পড়ছি, লিখছি উপন্যাস ।। ইমদাদুল হক মিলন

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী